চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে গোলাগুলি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩ মে, ২০২০ | ৩:২০ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাস মহামারিকালে উত্তর কোরিয়ার ও দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।  উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তিন সপ্তাহ লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে প্রকাশ্যে আসায় পরই দুই কোরিয়ার মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তের একটি গার্ড পোস্টকে ঘিরে রবিবার সকালে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় ৭টা ৪১ মিনিটে উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তের একটি গার্ড পোস্ট লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় বলে এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ জানিয়েছেন।

এর জবাবে দক্ষিণ কোরিয়ার দিক থেকে উত্তরের দিকে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এ ঘটনায় কারও আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছেন, কারণ জানতে উত্তর কোরীয় সেনাবাহিনীর হটলাইনে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। ঠিক কী কারণে এ গোলাগুলির সূত্রপাত হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

দুই কোরিয়ার মধ্যে ২৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। যা বিশ্বের সবচেয়ে সামরিকায়িত সীমান্ত। তবে এর মধ্যে ৪ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকাকে বলা হয় অসামরিক অঞ্চল।

প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছিল না উত্তর কোরিয়ার নেতাকে। উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা দাদা কিম ইল-সাংয়ের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কিমের অনুপস্থিতির পর থেকে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শুরু হয়।

কড়া এই শাসকের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলেও সিএনএন, বিবিসি, এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছিল না উত্তর কোরিয়াও।

বিশ্বজুড়ে যখন কিমের মৃত্যু ও জটিল অসুস্থতা নিয়ে জল্পনা চলছে, তখন শুক্রবার জনসম্মুখে নিজের উপস্থিতি জানান দেন কিম। তাকে উত্তর পিয়ংইয়ংয়ে একটি সারকারখানা প্ল্যান্টের উদ্বোধন করতে দেখা যায়।

২০১০ সালে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিল। সে বছরই দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার সাবমেরিন। তাতে দক্ষিণ কোরিয়ার ৪৬ নাবিক নিহত হয়েছিলেন।

২০১৮ সালে দুই দেশ সীমান্তের অসামরিক অঞ্চল থেকে অবশ্য কিছু গার্ড পোস্ট সরিয়ে নিতে শুরু করে। মূলত উত্তেজনা কমানোর অংশ হিসেবেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছিল সিউল ও পিয়ং ইয়ং।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট