চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

পুলিশ বিপদ ডেকে আনছে না তো!

অনলাইন ডেস্ক

৫ এপ্রিল, ২০২০ | ১২:৪৯ অপরাহ্ণ

মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো সবচাইতে কার্যকরী উপায় হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বিশ্বজুড়ে সকল বিশেষজ্ঞ এই একই মত জানিয়েছেন। সেই মোতাবেক লকডাউন জারি করেছে আক্রান্ত প্রায় সব দেশ ও অঞ্চল। কোয়ারেন্টাইন অমান্য করলেই আটক করা হচ্ছে, দেয়া হচ্ছে জেল-জরিমানা। এতে হিতে-বিপরীত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন প্রায় দুই হাজার। সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের শিকার এ শহরটিতে মহামারি রোধে লকডাউন চলছে। আর এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বেশ কড়া অবস্থানে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)। তবে এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিপদ আরো বাড়িয়ে তুলছেন, এমনকি নিজেদেরও ঝুঁকিতে ফেলছেন। ইতোমধ্যে শহরটির অন্তত ১৪শ’ পুলিশ কর্মকর্তার শরীরেও ধরা পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস, মারা গেছেন ১০ জন।

ধারণা করা হচ্ছে, দায়িত্বপালনকালেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এসব পুলিশ কর্মকর্তা। কারণ পর্যাপ্ত উপকরণের অভাবে অনেক সময় মাস্ক-গ্লাভস ছাড়াই জনসাধারণের সংস্পর্শে যেতে হচ্ছে তাদের। এতে শুধু পুলিশ সদস্যরাই আক্রান্ত হচ্ছেন তা নয়, ঝুঁকি বাড়ছে আটক ব্যক্তিদেরও। সম্প্রতি লকডাউন নিদের্শনা অমান্য করায় আটক করা হয় ৩৭ বছর বয়সী এক নারীকে। তার দাবি, কিছুদিন আগে তিনি ও তার প্রেমিক বেডফোর্ড-স্টুভিসেন্ট এলাকায় অনিচ্ছাকৃতভাবে ২৫ জনের একটি ভিড়ের মধ্যে পড়েছিলেন। সেখান থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশের যে দলটি তাদের আটক করে, তাদের কারো কাছেই মাস্ক-গ্লাভস ছিল না। পরে তাকে আরো কয়েক ডজন নারীর সঙ্গে নোংরা একটি সেলে আটকে রাখা হয়। এভাবে পর্যাপ্ত সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়াই জনসাধারণের শারীরিক সংস্পর্শে আসা এবং আটক ব্যক্তিদের একসঙ্গে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশিং এন্ড সোশ্যাল জাস্টিস প্রজেক্টের প্রধান এলেক্স ভিটেল বলেন, পুলিশরাও করোনায় আক্রান্ত হওয়া ও এটি ছড়িয়ে দেয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ কারণে তাদেরও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা দরকার বলেও জানান তিনি।

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন