লাশের মিছিল যেন থামছেই না ইতালিতে। স্তব্ধ হয়ে গেছে পুরো ইতালি। প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছে শত শত মানুষ। থেমে গেছে গোটা দেশ। একের পর এক কফিন নামছে কবরে।
প্রাণঘাতী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরও ৭১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা বিশ্বের যে কোনো দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। লাশের দেশে পরিণত হয়েছে পুরো ইতালি। দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ২০৩ জন। সবমিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে ইতালিতে।
বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টার সর্বোচ্চসংখ্যক করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী মারা গেছে ইতালিতে। আর সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (১১ হাজারের বেশি)। এরপরের অবস্থানেই ইতালি।
কোনো পদক্ষেপই ইতালিতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমাতে পারছে না দেশটির সরকার। পুরো দেশ লকডাউনের পরও থামছে না মৃত্যুর মিছিল।
এরই মধ্যে নাগরিকদের ঘরে রাখার কৌশল হিসেবে হাইওয়ের পেট্রোল পাম্পগুলো বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজধানী রোমে জনসাধারণ চলাচলে আরও কড়াকড়ি আরোপ করেছে কন্তে সরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলে গুনতে হচ্ছে জরিমানা।
ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে চার লাখে পৌঁছানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অবিশ্বাস্যহারে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃহস্পতিবারের সবশেষ হিসাবে দেখা যায়, ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৮৯ জন। আর চীনে আক্রান্ত ৮১ হাজার ৭৮২ জন। আর যুক্তরাষ্ট্র সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে, দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৪০০ জন।
ইতালির ২১টি বিভাগীয় শহরের কেবল লোম্বার্দিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন। পুরো ইতালির মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ২১৫ জন। সেখানে কেবল লোম্বার্দিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬১ জন। বৃহস্পতিবার এ অঞ্চলেই মারা গেছে ৩৮৭ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৪৩ জন।
এরপরেই এমিলিয়া রোমানিয়া অঞ্চল। সেখানে আক্রান্ত ১০ হাজার ৮১৬ জন এবং মারা গেছে ১ হাজার ১৭৪ জন। ভেনেতো অঞ্চলে আক্রান্ত ৬ হাজার ৯৩৫ এবং মারা গেছে ২৮৭ জন। পিয়েমনতে অঞ্চলে আক্রান্ত ৬ হাজার ৫৩৪ এবং ৪৪৯ জন মারা গেছেন।
পূর্বকোণ/পিআর