চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

কর্মে প্রাণ ফিরছে চীনে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ মার্চ, ২০২০ | ৭:৫০ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাস আক্রান্ত শুরু হয় চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে। বলা হচ্ছে, শহরটির একটি প্রাণী বাজার থেকে ভাইরাসটি মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে শুরু করে। ওই সংক্রমণ চীন থেকে গোটা বিশ্বের ছড়িয়ে পড়েছে। ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুসারে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত বিশ্বের ১৯২টি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

উহান থেকে করোনাভাইরাস ছড়ালেও গত পাঁচদিন ধরে শহরটিকে একজনও নতুন আক্রান্ত পাওয়া যায়নি। নতুন করে কেউ আক্রান্ত না হওয়ার কারণে শহরটির বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বের হয়ে কাজে ফিরতে শুরু করেছে। শহরটিতে করোনা পূর্ববর্তী সময়ের মতো যান চলাচলও শুরু হয়েছে। উহানের স্থায়ী বাসিন্দা, যাদের কাছে পরিচয়পত্র রয়েছে তারা কোনো বাধা ছাড়াই শহরে ঘুরে বেড়াতে পারছেন।

চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের অনুমতিপত্র থাকলে সেরে ওঠা কর্মীরা কাজে যোগ দিতে পারছেন। এমনকি শহর ছেড়ে হুবেই প্রদেশের অন্য স্থানেও যেতে পারছেন। তবে শহর ছাড়তে তাদের প্রয়োজন হচ্ছে চিকিৎসকের ছাড়পত্র। উহানে নাটকীয়ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে হুবেইয়ের অন্য স্থানগুলোতেও আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকে। তবে গতকালও উহানে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন।

চীনে আক্রান্তের সংখ্যা যখন কমতে শুরু করেছে তখন বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইউরোপের সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের দেশ ইতালি। দেশটিতে প্রায় প্রতিদিনই পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি মারা যাচ্ছে। চীন এখন বিদেশ থেকে আগত আক্রান্তদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। চলতি সপ্তাহে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৫০ জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে। সোমবার মোট ৩৯ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে, এদের মধ্যে সাংহাইয়ে ১০ ও পেইচিংয়ে ১০ জন। উহানের মতো চীনের আরও শহরগুলো নতুন করে আগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে।

তবে রাজধানী বেইজিংয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বাধিক কড়াকড়ি রাখা হয়েছে। বেইজিংগামী সব ফ্লাইটকে চীনের অন্য শহরে যাত্রীদের পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া আছে। সব ধরনের ছাড়পত্র পেলেই তবে পেইচিংয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তবে পেইচিংয়ে প্রবেশের পরেও তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

চীনে এখন পর্যন্ত ৮১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে তিন হাজার ২৭০ জন মারা গেছে। গত রবিবার চীন সরকার পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করা করোনাভাইরাস প্রতিরোধী একটি টিকার পরীক্ষা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, রাশিয়া ছাড়াও আরও কিছু দেশ একযোগে টিকা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তথ্যসূত্র : দেশ রূপান্তর।

 

 

 

 

পূর্বকোণ-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট