চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ট্রেনে ‘করোনা রোগী’ আছে শুনে মুহূর্তেই ফাঁকা প্ল্যাটফর্ম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ মার্চ, ২০২০ | ১০:৩৯ অপরাহ্ণ

করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন ট্রেনে-এমন খবর শুনে প্ল্যাটফর্ম ফাঁকা করে পালিয়েছেন অবস্থানরত যাত্রীরা। আজ সোমবার দুপুরে ভারতের আসাম রাজ্যের জোরহাট জেলায় এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় পত্রিকা আনন্দবাজারর সূত্রে জানা যায়, চেন্নাই থেকে আগত ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগেই করোনা আক্রান্ত রোগী ট্রেনে থাকার খবর পেয়ে উপস্থিত সব যাত্রী স্টেশন ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর রেল কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নিয়ে পুরো প্ল্যাটফর্ম খালি করে দেয় ।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, ‘করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে চেন্নাই এক্সপ্রেসের চার যাত্রীর মধ্যে’ এমন খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে তড়িঘড়ি করে প্ল্যাটফর্ম থেকে পালিয়ে যান অবস্থানরত যাত্রীরা। পরে স্টেশন ফাঁকা করে গোটা ট্রেনের যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তবে রেলের চিকিৎসকরা ছাড়পত্রে বলা হয় সর্দি-কাশি থাকলেও দুই ব্যক্তির করোনার লক্ষণের কিছুই ছিল না। আর ছাড়পত্র পাওয়ার পরই ফের গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত অঞ্চল রেলের সংশ্লিষ্ট মুখপাত্র শুভানন চন্দ জানান, এক যাত্রী ফোনে অভিযোগ করেন তিনি করোনাভাইরাসের দেখেছেন চেন্নাই এক্সপ্রেসের চার যাত্রীর শরীরে। আর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সেখান থেকেই। আর এই ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষ ঝুঁকি না নিয়ে, ঐ ট্রেনের সব যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে।

তিনি আরও জানান, সর্দি-কাশি থাকলেও সন্দেহজনক দুই ব্যক্তির করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণই ছিল না। তবে ট্রেন ছেড়ে যায় রেলের চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পাওয়ার পর।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ট্রেন যাত্রার শুরুতে নিয়মিত বার্থের হাতল, কল, শৌচাগারের দরজার হাতল ও দরজার হাতল জীবাণুমুক্ত করা হয়। এছাড়া প্রত্যেক যাত্রার শেষে ডিপোয় নিয়ে সম্পূর্ণ ট্রেন জীবাণুমুক্ত করা হয়। আর পর্দা ও কম্বল দেওয়া বন্ধ করা হলেও শুধুমাত্র কোনো যাত্রী চাইলেই কম্বল দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস আক্রান্ত ১১৫ ভারতীয়র মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৩ জন।

 

 

 

পূর্বকোণ-আরপি

শেয়ার করুন