চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

শিথিল হচ্ছে চীনের হুবেই ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ মার্চ, ২০২০ | ৯:৫৮ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাসের কারণে জারিকৃত চীনের হুবেই প্রদেশে আজ থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল হচ্ছে। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় সেখানে সুস্থ লোকজনকে ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। তবে বিদেশি ও বিদেশফেরত চীনা নাগরিকদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস আবার ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে বলেও সতর্ক করেছে চীন।

হুবেই প্রদেশ একটি ‘হেলথ কোড’ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে সেখানের বাসিন্দারা কম ও মাঝারি ঝুঁকি রয়েছে, এমন জায়গায় চলাচল শুরু করতে পারবে। আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে, প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, বাসিন্দাদের রঙিন স্বাস্থ্য কোডের মোবাইল এপ দেয়া হবে। সবুজ রঙের কোড পাওয়া ব্যক্তিরা প্রদেশের ভেতরে মাঝারি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভ্রমণ করতে পারবেন। করোনাভাইরাসের ভয়াবহ শিকার হুবেই প্রদেশকে গত জানুয়ারি মাস থেকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে দেয়া হয়।

করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এ লণ্ডভণ্ড উহান শহরে আজ মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো পরিদর্শনে যান চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ভয়াবহ এই ভাইরাস গত বছরের ডিসেম্বরে উহান শহর থেকে ছড়ায় বলে মনে করা হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে চীনে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসছে। বেইজিং এটাকে তাদের নেয়া বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপের সাফল্য বলে মনে করছে। ভাইরাসটি এখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারের দিক দিয়ে এখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ইরান, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়া।

চীন সতর্ক করেছে যে বিদেশি এবং ইরান ও ইতালির মতো আক্রান্ত দেশগুলো থেকে দেশে ফেরা চীনা নাগরিকদের মাধ্যমে ভাইরাসটি আবার ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে। বেইজিংয়ে নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তি ব্রিটেন ও গুয়াংডংয়ের আক্রান্ত ব্যক্তি স্পেন থেকে এসেছিলেন। গতকাল পর্যন্ত এই রকম বিদেশ থেকে চীনে ফেরা আক্রান্ত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ৬৯ এ পৌঁছেছে।

চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার ১৯ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন উহানের, একজন বেইজিংয়ের, অন্যজন গুয়াংডংয়ের। এই দুজন বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। এ ছাড়া তৃতীয় দিনের মতো হুবেই প্রদেশের বাইরে নতুন কেউ আক্রান্ত হয়নি। এর আগের দিন রোববার আক্রান্ত হয়েছিল ৪০ জন। সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজার ৭৫৪ জন। মারা গেছে ৩ হাজার ১৩৬ জন।

 

পূর্বকোণ-আরপি

শেয়ার করুন