চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনাভাইরাস ছড়ালো ৮৪টি দেশ ও অঞ্চলে মৃত্যু বেড়ে ৩২৮৫

৬ মার্চ, ২০২০ | ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের ৮৪ দেশ ও অঞ্চলে। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাস প্রাণ নিয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ জনের। এরমধ্যে চীনে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১২ জনের। আর চীনের যে শহর থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে সেখানে এ ভাইরাসের কারণে প্রাণ গেছে ২ হাজার ৩০৫ জনের। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এসব তথ্য জানা যায়। কর্তৃপক্ষ জানায়, চীনে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩১ জনের। এরা সবাই হুবেই প্রদেশের। আর এরমধ্যে ২৩ জন উহানের। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৯ জন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, চীনে বুধবার (৪ মার্চ) পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১২ জনের। এদের মধ্যে ২ হাজার ৩০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে উহানে।-বাংলানিউজ
এখন পর্যন্ত চীনে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৪৩০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১২ জনের। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫২ হাজার ২০৮ জন।

চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৫ হাজার ২১০ জন। এরমধ্যে ৫ হাজার ৯৫২ জনের অবস্থা গুরুতর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যারা হয়েছেন তাদের মধ্যে ৩.৪ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে গত বছরের শেষ দিকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৪৮১ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ জনের। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৩ হাজার ৬৮৮ জন। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ৩৮ হাজার ৫০৮ জন। এরমধ্যে ৬ হাজার ৪২০ জনের অবস্থা গুরুতর। চীনের

বাইরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের। এরপর রয়েছে ইরান। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৯২ জনের। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৫, যুক্তরাষ্ট্রে ১১, জাপানে ৬, ফ্রান্সে ৪, স্পেনে ২, হংকংয়ে ২, অস্ট্রেলিয়ায় ২, ইরাকে ২, থাইল্যান্ডে ১, তাইওয়ানে ১, সান ম্যারিনোতে ১ ও ফিলিপাইনে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া ডায়ামন্ড প্রিন্স নামের একটি জাহাজে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
ইতালি বিপর্যস্ত: ইতালিতে ক্রমেই বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা। একদিনেই ২৮ জনে বেড়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৭ জনে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তে বলেছেন, পরিস্থিতি বেশ নাজুক। দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে ইতালি। ১৫ মার্চের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে দেশটির সরকার। সঙ্কট মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী গুসেপ্পে কন্তে।
এছাড়া খেলাধুলার সব আয়োজনও বাতিল করেছে ইতালি। করোনার কারণে ইতালি ছাড়াও আরও অন্তত ১২টি দেশ তাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে।

আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে বলেছে, করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি এমনভাবে ছড়াচ্ছে, যা থামবে বলে মনে হচ্ছে না।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো জানায়, কোভিড-নাইনটিন রোগটির কারণে প্রায় ৩০ কোটি শিশুর শিক্ষা জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
এদিকে, বুধবার (৪ মার্চ) করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্প্যান বলেন, ‘পরিস্থিতি খুব দ্রুতই পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রাদুর্ভাব ঠিক কোন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

শেয়ার করুন