লাতিন আমেরিকার বড় দেশগুলো একটি হলো আর্জেন্টিনা। ফুটবল খেলায় খ্যাতির শীর্ষে থাকলেও দেশটি প্রথমবারের মতো গর্ভপাত বৈধ করার মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসতে যাচ্ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবের্তো ফার্নান্দেজ স্বয়ং এ ঘোষণা দিয়েছেন। গর্ভপাত বৈধকরণের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পেইন চালানো নারী অধিকারকর্মীরা প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণাকে উষ্ণ অভিবাদন জানাচ্ছে।

পার্লামেন্টে প্রথম বার্ষিক ভাষণ প্রদানকালে গতকাল রবিবার (১ মার্চ) আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশটির পার্লামেন্টে গর্ভপাত সংক্রান্ত একটি বিল আগামী ১০ দিনের মধ্যে পাঠাবেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

গর্ভপাত বৈধকরণ প্রসঙ্গে ফার্নান্দেজ বলেন, রাষ্ট্রকে অবশ্যই নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে নারীদের। নিজের শরীরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে যার যার পছন্দকে সম্মান জানাতে হবে এই একবিংশ শতকে। অনেক নারী গর্ভপাতের পক্ষে এটা অনেকটাই স্পষ্ট। গর্ভপাতকে দণ্ডনীয় অপরাধ করার ফলে অনেক নারী, বিশেষ করে দুস্থ নারীরা লুকোছাপার মধ্য দিয়ে এটি করে থাকে, যা তাদের স্বাস্থ্য, কখনো কখনো ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয় তাদের মূল্যবান জীবনকে।

খবরে আরো বলা হয়, রোমান ক্যাথোলিক ধর্মপ্রধান লাতিন আমেরিকার ২১ দেশের মধ্যে কেবল কিউবা ও উরুগুয়েতে গর্ভপাত বৈধ। এর আগে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মরিসিও ম্যাক্রিও ২০১৮ সালে পার্লামেন্টে গর্ভপাত বৈধকরণের বিল উত্থাপন করলে সে সময় বিলটির বিপক্ষে বেশি ভোট পড়ে। তাছাড়া সেখানকার চার্চও ওই বিলের বিরুদ্ধে ছিল। পরে এ ব্যাপারটি থেকে সরে আসেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট। তবে এবার প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দেজ ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন নিয়েই গর্ভপাত বৈধকরণ বিল উত্থাপন করতে চলেছেন বলেও খবরে বলা হয়েছে।

পূর্বকোণ/আরপি