চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বোচ্চ সতর্কতা

করোনা ভাইরাস মৃত বেড়ে ২৯২৩ আক্রান্ত ৮৫১৭৩

১ মার্চ, ২০২০ | ২:৪১ পূর্বাহ্ণ

কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ২ হাজার ৯২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ হাজার ১৭৩ জন। কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৩২ জন। গতকাল শনিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।-বাংলানিউজ
খবরে বলা হয়, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চীনে এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৭ জন। এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৩৫ জনের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৃত্যু হয়েছে আরও ৮৮ জনের। সবমিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৯২৩। এখন পর্যন্ত চীনে এ রোগে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৭৯ হাজার ২৫১জন। বিশ্বজুড়ে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ১৭৩ জন। চীন ছাড়াও ইরানে ৩৪, ইতালিতে ২১, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৬, জাপানে ৫, ফ্রান্সে ২, তাইওয়ানে ১, ফিলিপাইনে ১,

হংকংয়ে ২ এবং ডায়ামন্ড প্রিন্সেস নামের একটি জাহাজে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে কভিড-১৯ বিশ্বের ৫৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
ইরানে মৃত ২১০ : বিবিসি
নিউমোনিয়া সদৃশ নতুন করোনাভাইরাসে ইরানে অন্তত ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি। মৃতদের বেশিরভাগেই রাজধানী তেহরান ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কোমের, বলেছে তারা। তেহরান থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরের এই কোম শহরেই ইরানের প্রথম কভিড-১৯ রোগীর দেখা মিলেছিল।
বিবিসি বলছে, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর কাছ থেকে পাওয়া মৃতের এ সংখ্যা দেশটির সরকারের জানানো সংখ্যার ৬ গুণেরও বেশি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ইরানি কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিয়ানুশ জাহানপুর বলেছেন, প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে তারা স্বচ্ছতা বজায় রাখছেন এবং কোনো ধরনের লুকোচুরি করছেন না। বিবিসির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা প্রচারের’ অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি :
চীনের উহান থেকে দুই মাস আগে যে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল, সেই নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হওয়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কেবল শুক্রবারই ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার ছয়টি দেশে প্রথমবারের মত এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারগুলো ২০০৮ সালের বিশ্বমন্দার পর সবচেয়ে বাজে সপ্তাহটি পার করেছে। এই এক সপ্তাহে পুঁজিবাজার থেকে হাওয়া হয়ে গেছে ছয় ট্রিলিয়ন ডলার।
ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপের মাধ্যমে চীন নিজের দেশে এ ভাইরাসের বিস্তার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসায় ব্যবসায়ীরা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন। তারা ভেবেছিলেন, নভেল করোনাভাইরাসের বিপদ আর খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে না, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও দ্রুত স্বাভাবিক চেহারায় ফিরে আসতে পারবে। কিন্তু তাদের সেই আশা ভেস্তে যেতে বসেছে গত কয়েক দিনে এ ভাইরাস অত্যন্ত দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস গেব্রিয়েসাস শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা এ বিপদকে খাটো করে দেখতে রাজি নই। এ কারণেই আমরা বলছি, এ ভাইরাসের বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি খুবই বেশি। আমরা সতর্কতার মাত্রা ‘উচ্চ’ থেকে ‘সর্বোচ্চ’ ধাপে নিয়ে গেছি।”

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট