সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ-সংঘর্ষে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ জনে। গত কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র তৈরি হয়েছে দিল্লির ভজনপুরা, মৌজপুর, কারাওয়ালনগরে; তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- গত ৩৬ ঘণ্টায় বড় কোনও ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ১০টা এবং বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বড় জমায়েতের ওপর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানুষের উচিত হবে গুজবে কান না দেওয়া এবং যে দুষ্কৃতিকারীরা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়াতে চাইছে তাদের ফাঁদে পা না দেওয়া।
এতে আরও আরও বলা হয়, দিল্লির ২০৩টি থানার মধ্যে মাত্র ১২টি থানার এলাকা কিংবা প্রায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ এলাকা এই দাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দিল্লি পুলিশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য শান্তি বৈঠকের আয়োজন করছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৩০টি বৈঠক হয়েছে। কেবল বিজেপি নয়, আপ, কংগ্রেসের নেতারাও বৈঠকে উপস্থিত থেকেছেন। সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার নাগরিক সংগঠনের সদস্যরা।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পূর্ব দিল্লি পুরসভার পক্ষ থেকে আক্রান্ত এলাকার বিধ্বস্ত রাস্তাঘাটা পরিষ্কার করে সহিংসতায় আক্রান্ত জনসম্পত্তির মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর