মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ দুই শতাধিক বিদেশি অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুয়ালালামপুরের কয়েকটি নাইট ক্লাব ও শনিবার ভোররাতে বিদেশী অভিবাসীদের বাসা বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্ৰেশন প্রধান হামিদি এডাম অভিযান পরিচালনা করেন। রাজধানী কুয়ালালামপুরের তামান দেছা চেরাচ, জালান সেগামবুতে অভিযান সাপু ও অভিযান পিন্টু শুরু হয় ভোর ১ টা থেকে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সব থেকে বেশি রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ১৫০, থাইল্যান্ডের ৩৩, বাংলাদেশের ১৬, ফিলিপাইনের ৩, ইন্ডিয়ার ২ ও লাউসে্র একজন। গ্রেপ্তারকৃতদের বয়স আনুমানিক ১ থেকে ৪৮ বছর।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্ৰেশন প্রধান হামিদি এডাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্রেপ্তার শিকার অধিকাংশই বৈধ নথিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে এছাড়াও জাল ভিসা পাওয়া গেছে অনেকের কাছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসীদের জন্য মালয়েশিয়া নয়। আমরা যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছি অবৈধদের দেশ ত্যাগের জন্য তারপরেও যারা অবৈধ অবস্থায় এখানে অবস্থান করছেন তাদের জন্য জেল-জরিমানা অবধারিত। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এবং ইমিগ্ৰেশন আইনের ১৯৫৯ ধারা ৬৩ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
অভিযানে অংশ নেয়, ইমিগ্ৰেশন, পুলিশ ও রেলা। এসময় তিনটি নাইট ক্লাবে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে আটক করা শতাধিক অভিবাসীকে। এরপর বিভিন্ন রুমে ঢুকে তল্লাশি চালিয়ে আটক করা হয় আরো দুই শতাধিক বিদেশি অভিবাসিদের। অভিযানে শেষে আটককৃতদের কাগজপত্র দেখে গ্রেপ্তার করা হয় বাংলাদেশিসহ দুই শত ৫ জনকে। যার মধ্যে ৬ জন শিশু রয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর