চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

ট্রাম্পের অভিশংসনে বড় ধাক্কা ডেমোক্র্যাটদের

শেষের পথে বিচার

পূর্বকোণ ডেস্ক

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন শুনানিতে সাক্ষী হাজির করার লড়াইয়ে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। মাত্র একজন রিপাবলিকানের সমর্থন পায়নি তারা। এতে ট্রাম্পের বিচার অচিরেই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

সাক্ষীর সাক্ষ্য নিতে মোট চারজন রিপাবলিকানের সমর্থন দরকার ছিল ডেমোক্র্যাটদের। কিন্তু তিনজন ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেও চতুর্থ একজন রিপাবলিকান সাক্ষী ডাকায় সায় দেননি। তিনি হচ্ছেন, টেনেসি থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান সিনেটর লামার আলেকজান্ডার।

বৃহস্পতিবার লামার বলেন, প্রাথমিক শুনানি এবং যুক্তিতর্কে এরই মধ্যে যা প্রমাণ হয়েছে তারপর আরো প্রমাণের জন্য অতিরিক্ত সাক্ষী বা নথিপত্রের কোনো প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন না। তাছাড়া তিনি বলেন, ট্রাম্প যা করেছেন তা যথাযথ ছিল না-সেটি ডেমোক্র্যাটরা প্রমাণ করেছেন, কিন্তু এটি অভিশংসনযোগ্য কোনো অপরাধ নয়।

লামারের এ ঘোষণা ট্রাম্পের বিচার অচিরেই শেষ হওয়ার পট প্রস্তুত করেছে। শুক্রবারই ট্রাম্প অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়ে যেতে পারেন। কারণ, লামারের ওই কথার পর রিপাবলিকানরা এখন বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ পাবে। আর তা করলে বিচারের ইতি ঘটবে আর ট্রাম্পও পাবেন প্রত্যাশিত মুক্তি।
শুক্রবার উভয়পক্ষ সমাপনী যুক্তিতর্কের পর সিনেটে অতিরিক্ত সাক্ষীর শুনানি প্রশ্নে ভোট আহ্বান করা হবে। সে ভোটে হার হলে সঙ্গে সঙ্গেই বিচার শেষ হবে।

আর যদি ভোট সমান-সমান অর্থাৎ, টাই হয় তাহলেও উদ্যোগটি ব্যর্থই হবে। যদি না বিচারের তত্ত্বাবধানে থাকা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এই টাই ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। সেটি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে। ডেমোক্র্যাটরা চেয়েছিলেন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে সিনেটে সাক্ষ্য দিতে হাজির করাতে। কারণ, ইউক্রেইন জো বাইডেনের দুর্নীতি তদন্ত না করা পর্যন্ত তাদেরকে মার্কিন সামরিক সহায়তা না দিয়ে তা বন্ধ করে রাখার কথা ট্রাম্প সরাসরি বোল্টনকেই বলেছিলেন বলে খবর রয়েছে। ফলে ট্রাম্পের বিচারে বোল্টনের সাক্ষ্য নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

ডেমোক্র্যাটরা আশা করেছিলেন, এ ব্যাপারে অন্তত চারজন রিপাবলিকান সিনেটর তাদের সঙ্গে হাত মেলাবেন। চারজনের সমর্থন পেয়ে গেলে বিচার চলতে পারত কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাস ধরে। কিন্তু তা না হওয়ায় এখন বিচার প্রক্রিয়া খুব দ্রুতই চূড়ান্ত ভোটের দিকে এগুতে পারে।

শেয়ার করুন