চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

চা ও মাছের বর্জ্যে মিলবে জ্বালানি

অনলাইন ডেস্ক

৩০ নভেম্বর, ২০১৯ | ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) একটি গবেষণা জ্বালানি খাতে নতুন আশা জাগিয়েছে। চা ও মাছের বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে প্রথমবারের মতো সফল হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মু. রাশেদ আল মামুন, শিক্ষার্থী শঙ্খরূপা দে এবং জিনাত জাহান। সূত্র: সময়ের আলো।

সিকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন আশার সঞ্চারের কথা জানানো হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবহৃত চা, মাছ ও গবাদিপশুর বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বায়োগ্যাস উৎপাদনের পাশাপাশি সার হিসেবে ব্যবহারের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, ভিন্ন ভিন্ন অনুপাতে মাছ, চা ও গরুর সমন্বিত বর্জ্য থেকে ৭২ এবং ৪৫ মিলিলিটার, গরু ও চায়ের সমন্বিত বর্জ্য থেকে ৩৫ মিলিলিটার এবং গরু ও মাছের সমন্বিত বর্জ্য হতে ৬৫ মিলিলিটার বায়োগ্যাস বা মিথেন পাওয়া গেছে। বর্জ্য ভেদে বায়োগ্যাস থেকে ৬০-৬৫ শতাংশ মিথেন গ্যাস পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রতিদিন ব্যাপক পরিমাণ চা, মাছ ও গবাদিপশুর বর্জ্য তৈরি হয়, যা সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশের ওপর নানাবিধ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

এই বর্জ্য পচে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস নির্গত হয় যা গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর চেয়ে ২৫ গুণ বেশি ক্ষতিকর। মাছের বর্জ্য, চায়ের বর্জ্য ও গোবর মিশিয়ে ৬৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সিকৃবির এই গবেষক দল। তাছাড়া জ্বালানি উৎপাদনের পর অপচ্য বর্জ্য থেকে সার ও মাছের খাবার উৎপন্ন হয়। এটিও আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বৃহৎ পরিসরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হলে বাংলাদেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন দিগন্তের সূচনা করা সম্ভব হবে বলে তারা মনে করেন।

 

 

পূর্বকোণ-রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট