চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সু স্থ থা কু ন

সারভাইকাল ক্যানসার নয় তো? এই সব লক্ষণ দেখলেই ডাক্তার দেখান

২৮ অক্টোবর, ২০১৯ | ৩:০৭ পূর্বাহ্ণ

দেশ উন্নত হোক বা তৃতীয় বিশ্বের তালিকায়, মেয়েরা নিজেদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে একেবারেই সচেতন নয়, তাই সারভাইকাল ক্যানসারে আক্রান্ত মেয়েদের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ফি বছর। এমনটাই মত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যানসার সংক্রান্ত সমীক্ষায়। এই সমীক্ষার সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন রাজ্যের ক্যানসার বিশেষজ্ঞরাও। তাঁদের অনেকের মতে, তুলনায় উন্নত দেশের নাগরিকরা সচেতন ও উন্নত জীবনযাপনের কারণে এই রোগ থেকে নিরাপদ থাকলেও সচেতনতার অভাব নেই, এ কথা জোর দিয়ে একেবারেই বলা যাবে না।

তবে উন্নত দেশে সারভাইকাল ক্যানসার শনাক্ত করার জন্য মেয়েরা ‘পেপস স্মেয়োর টেস্ট’-এর শরণ নিলেও এ দেশে সামাজিক ও পারিবারিক নানা কারণে এই পরীক্ষা করাতে কুণ্ঠা দেখা যায়।

সারভাইকাল ক্যানসারের কারণ : হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর হানাতেও এই অসুখ দানা বাঁধে শরীরে। তবে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করা ছাড়াও সারভাইকাল ক্যানসারের আর একটি প্রধান কারণ অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক। ২০ বছরের কম বয়েসিদের এই রোগ সাধারণত হয়ে না। সাধারণত ৩৮ থেকে ৪২ বছর বয়েসিরাই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বয়স ৬০ পেরলেও এটি হতে পারে, তবে সংখ্যা তুলনামূলক কম। দীর্ঘ দিন ধরে এই ধরনের সম্পর্কের ফলে জরায়ু-মুখের কোষগুলি পরিরর্তিত হতে থাকে। এই পরিবর্তনই ক্যানসারকে ডেকে আনে।

লক্ষণ : এই ক্যানসারের জন্য নির্দিষ্ট কোনও অঞ্চল সীমাবদ্ধ নয়। বরং জরায়ুর যে কোনও অংশেই এই ক্যানসারের হানা লক্ষ করা যায়। সাদা বা দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, অনিয়মিত পিরিয়ড, মেনোপজের পরেও হঠাৎই রক্তপাত, তলপেটে বা কোমরে ব্যথাÍ ইত্যাদি সামনে এলেই সচেতন হতে হবে। কোথায় কোথায় সাবধানতা : কোনও ভাবেই কন্যা সন্তানের বিয়ে আঠারোর আগে নয়।

বাড়াবাড়ি রকমের পলিসিস্টিক ওভারি, বন্ধ্যাত্ব এ সব থাকলে সচেতন হোন। গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ইচ্ছা মতো ওষুধ নেবেন না। পলিসিস্টিক ওভারি থাকলে তেল-মশলা এড়িয়ে খাওয়াদাওয়া করুন, সুস্থ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হন। পিরিয়ড চলাকালীন অতিরিক্ত রক্তপাত, অস্বাভাবিক ব্যথা হলে সচেতন হোন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট