চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস-এর মোকাবিলা

মরিয়ম বেগম

১০ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:৩২ পূর্বাহ্ণ

বাঙালির আজন্ম ঝাল-ঝোল-অম্বলের খাদ্যাভ্যাসকে দায়ী করা হলেও বাওয়েল মুভমেন্টের সমস্যা কিন্তু শুধু বাঙালির নয়। এমনকি এই রোগ শুধু মাত্র বিশেষ কোনও বয়সের পরেও শুরু হয় না। খুঁজলেই দেখা যাবে যে, আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের শিকার অনেকেই। পাশাপাশি রয়েছে এটি নিয়ে নানা ভ্রান্ত ধারণাও।

আইবিএস কী?

সাধারণত কেটে-ছড়ে-পুড়ে যাওয়া,
কিডনির সমস্যা, হৃদ্যন্ত্র বিকল কিংবা পেটের ক্রনিক কোনও সমস্যা থাকলে তার ফিজিক্যাল বা শারীরবৃত্তীয় বদল ঘটে। কিন্তু আইবিএসের ক্ষেত্রে তেমন কোনও বদল হয় না। অর্থাৎ ইনটেস্টাইন বা অন্ত্রের দেওয়ালে কোনও ক্ষত বা পেটের কোথাও কোনও শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন হয় না। টিউমর বা গ্রোথের মতো সমস্যাও নেই। আইবিএসে তাই গঠনগত সমস্যা নয়, ফাংশনাল ডিজ়অর্ডার হয়। তার জন্যই কোনও ডাক্তারি পরীক্ষা করে ধরা পড়ে না আইবিএস। রক্ত পরীক্ষা, পেটের আলট্রাসোনোগ্রাফি, কোলোনোস্কোপি, সিটি স্ক্যান সবেতেই রিপোর্ট আসবে স্বাভাবিক।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরুণাংশু তালুকদার বলছেন, ‘‘খাদ্যনালী, নার্ভ-সহ সার্বিক ভাবে গোটা শরীরের সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। সেখান থেকেই সিগনাল আসে ও তার ফলে বাওয়েল মুভমেন্ট হয় দ্রুত। তার পরেই আসে মলত্যাগের বেগ। কিন্তু এই সিগনালিংয়েই ফাংশনাল সমস্যা থাকলে  তৈরি হয় আইবিএস।’’
সমস্যার দোরগোড়ায়

যেহেতু নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি মস্তিষ্কের হাতে, ফলে দিনে কত বার বাথরুমে যেতে হবে, সেই সিগনালিংয়েও ভূমিকা মস্তিষ্কেরই। কিন্তু মস্তিষ্ক আবার চালিত হয় দুশ্চিন্তা, স্ট্রেস, ভয়, আতঙ্ক ইত্যাদি অনুভূতি দ্বারা। তাই প্রায়শই দেখা যায় পরীক্ষার আগে টেনশনে বারবার বাথরুমে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।

আয়ুর্বেদের ভাষায় আবার আইবিএসের নাম গ্রহণী। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. শিখা প্রকাশ বলছেন, ‘‘অনিয়মিত খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত মদ্যপান, ব্যায়ামের ঠিক পরেই খাবার খাওয়া, এমনকি অতিরিক্ত ব্যায়ামও কখনও কখনও আইবিএসের সমস্যা ডেকে আনতে পারে।’’ আসলে জীবনযাপনের অভ্যেস প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ছাপ ফেলে মস্তিষ্কে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে আইবিএস জুড়ে যায় মস্তিষ্কের সিগনালিংয়ের সঙ্গে।
(আগামী সংখ্যায় সমাপ্য) [সূত্র : ম্যানস হেলথ]

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট