চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

এড়িয়ে চলুন রং ফর্সাকারী ক্রিম: যুক্তরাজ্যে সতর্কতা  

অনলাইন ডেস্ক

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ৩:৫০ অপরাহ্ণ

যুক্তরাজ্যের ভোক্তাদেরকে রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে সতকর্তা জারি করে বলা হচ্ছে ‘যেকোনো মূল্যে’ এ ধরনের পণ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে। লোকাল গভর্নমেন্ট এসোসিয়েশনের (এলজিএ) এই সতর্কবার্তায় বলা হচ্ছে, রং ফর্সাকারী ক্রিমে থাকা উপাদান ত্বকের উপরিভাগের একটি স্তরকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সম্প্রতি দেশটিতে বাণিজ্য মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের হাতে এ ধরনের কিছু পণ্য জব্দ হওয়ার পর এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, অনেক পণ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান হাইড্রোকুইনোন থাকে। এছাড়া অনেক ক্রিমে মার্কারি বা পারদ থাকার কথাও জানা গেছে। এলজিএ বলছে, কিছু খুচরা ব্যবসায়ী, অনলাইন, বাজারের কিছু দোকানীসহ এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা এ ধরণের পণ্য বিক্রি করছে। তারা সবসময় পণ্যের সঠিক মাত্রা উল্লেখ করেনা, যার কারণে ভোক্তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন। এলজিএ’র মতে হাইড্রোকুইনোন এমন এক রাসায়নিক যা জৈবিক রং পরিবর্তনের এক ধরণের উপাদান বা ‘পেইন্ট স্ট্রিপার’। এই রাসায়নিক মানুষের ত্বকের একটি স্তরকে অপসারণ করে দিতে পারে। এর ফলে ত্বকের ক্যান্সার, যকৃত এবং কিডনির মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হয়। পারদ থেকেও একই ধরণের প্রাণঘাতী স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরির আশঙ্কা থাকে।

চিকিৎসকের অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাজ্যে হাইড্রোকুইনোন, স্টেরিয়ড বা পারদ রয়েছে এমন ক্রিম তাদের মারাত্মক ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এলজিএ জানায়, সম্প্রতি এসব পণ্যের বেশ কয়েকটি চালান জব্দ করা হয়েছে। এগুলো হল-

  • ডাগেনহ্যামে একটি দোকান থেকে ৩৬০ পণ্য জব্দ করা হয়, যেগুলোর বেশ কয়েকটির মধ্যে হাইড্রোকুইনোন ছিল। এগুলোতে উপাদানের সঠিক মাত্রা উল্লেখ করা হয়নি এবং এগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্ধারিত মান নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়েছে।
  • ২০১৮ সালে এক অভিযান চালিয়ে সাউথওয়ার্ক কাউন্সিল ২৯০০ রং ফর্সাকারী পণ্য জব্দ করে, যেগুলোর বেশিরভাগই নাইজেরিয়া থেকে সরাসরি আমদানি করা হয়েছিল। এর জের ধরেই হয়তো যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো বিপজ্জনক রং ফর্সাকারী পণ্য বিক্রির দায়ে কারাদণ্ডের রায় আসতে যাচ্ছে।
  • ক্যামেরুন থেকে আসার পর গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে ২৫০ কেজি রং ফর্সাকারী পণ্য জব্দ করা হয়। এসব পণ্যের নমুনায় হাইড্রোকুইনোন পাওয়া গেছে।

কিন্তু এলজিএ বলছে, কাউন্সিল বাজেট কমে যাওয়ায়, বাণিজ্য মান নির্ধারণ কর্মকর্তারা এই সমস্যার বিষয়ে সর্বোচ্চ নজরদারি করতে পারছে না।

এলজিএ’র নিরাপদ ও শক্তিশালী কমিউনিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিমন ব্ল্যাকবার্ন বলেন, ‘নিষিদ্ধ পণ্যসমৃদ্ধ ত্বকের ক্রিম খুবই বিপজ্জনক এবং এগুলো স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, সারা জীবনের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে, তাই এগুলোকে যেকোনো মূল্যে এড়িয়ে চলা উচিত।’

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট