চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

‘চর্মরোগে বাজারের স্টেরয়েড ক্রিম নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ৭:১৮ অপরাহ্ণ

বর্তমান বাজারে চলতি বিভিন্ন মলমের মধ্যে বেশিরভাগেই রয়েছে স্টেরয়েড। যার অপব্যবহারের কার্যত মহামারির আকার নিচ্ছে চর্মরোগ। এর জন্য পাড়ার দোকান থেকে ওষুধ কেনার এই বদ অভ্যাসকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। যতদিন পাড়ার এসব ওষুদের দোকান থেকে বিনা প্রেসক্রিপশনে ওষুধ বিলি হতে থাকবে, ততদিনই জনসাধারণকে খেসারত দিতে হবে বলে জানিয়েছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে ‘ছত্রাকজনিত চর্মরোগ ও বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা জানান চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের আয়োজনে এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ডার্মাটেলজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ডা. এ কি এম সিরাজুল ইসলাম। চমেকের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. রফিকুল মাওলার সভাপতিত্বে সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. নাসরিন সুলতানা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছত্রাকজনিত চর্মরোগ চিকিৎসায় প্রচলিত ওষুধের প্রত্যাশিত ফল না পাওয়া নিয়ে দেশের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা অবহিত আছেন। এ জন্য তিনি অপচিকিৎসাই দায়ী। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ডার্মাটোলজিক্যাল সোসাইটি একটি ‘ট্রিটমেন্ট প্রটোকল’ তৈরির কাজ করছে। কারও কথা শুনে স্টেরয়েড জাতীয় কোন মলম লাগাবেন না। বিশেষত রাস্তায় যে সমস্ত মলম বিক্রি হয়, তাতে স্যালিসাইলিক এসিড থাকে। যা ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

মূল প্রবন্ধে ডা. নাসরিন সুলতানা বলেন, ছত্রাকজনিত চর্মরোগের মূল কারণ হল ডার্মাটোফাইট জাতীয় এক ধরণের ছত্রাক। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় আদ্রতা, জনঘনত্ব, ব্যক্তিগত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার এবং স্বাস্থ্য শিক্ষার অভাব এই রোগ সংক্রামণের জন্য সহায়ক। তিনি বলেন বর্তমানে প্রচলিত ওষুধ ব্যবহার করে এই রোগে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

এর কারণ হিসেবে রেজির্স্টাড ডাক্তারের চিকিৎসাপত্র ছাড়া ওষুধের সহজ প্রাপ্রতা, যথোপুযুক্ত ওষুধ ব্যবহার না করা, নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ওষুধ ব্যবহার না করা, ওষুধের গুণগত মান বজায় না থাকা, নতুন রোগ প্রতিরোধী জীবাণু সংক্রমণ সর্বোপরি দারিদ্রতা ও স্বাস্থ্য শিক্ষার অভাবকে দায়ী করেন তিনি।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ডা. নিশিথ রঞ্জন দে, ডা. সাইফুল্লাহ খান, ডা. অঞ্জনা চক্রবর্তী, ডা. আবুল কাশেম চৌধুরী, ডা. মো. মিজানুর রহমান, ডা. বর্ণালী বড়–য়া, ডা. জুনায়েদ মাহমুদ খান, ডা. সুবাস রায় প্রমুখ।

 

পূর্বকোণ/আর-আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট