চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চমেকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই গড়ে তুলেছেন কর্ণফুলী ব্লাড ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২৬ নভেম্বর, ২০২০ | ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

সেবা নিতে রোগী আসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে। কিন্তু অজানা কারণে সেই রোগী চলে যান পার্শ্ববর্তী বেসরকারি কর্ণফুলী ব্লাড ব্যাংকে। কারণ খুঁজতে গিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের সূত্রে পাওয়া যায় নতুন তথ্য।

মূলতঃ চমেকের ব্লাড ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই গড়ে তুলেছেন কর্ণফুলী ব্লাড ব্যাংক। যেখানে যুক্ত আছেন প্রভাবশালী এক চিকিৎসক নেতাও। তাদেরই একজন হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী মো. তাকবির হোসেন। যিনি চমেক হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে কর্মরত থাকলেও স্ত্রীর নামে শেয়ার নিয়েছেন কর্ণফুলী ব্লাড ব্যাংকটিতে। গতকাল বুধবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের প্রায় দুই ঘণ্টাব্যপী জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি। দুদকের বিশ্বস্ত সূত্রে তা নিশ্চিত করেছেন। পূর্বকোণের কাছেও শেয়ার নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন মো. তাকবির হোসেন। 

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেন তাকবির হোসেনসহ চমেক হাসপাতালের কর্মরত এক চিকিৎসকসহ আরও তিনজনকে। যাদের মধ্যে তাকবির হোসেনকে গতকাল বুধবার তলব করা হলেও বাকি তিনজনকে আজ বৃহস্পতিবার ডাকা হয়। তারা হলেন : চমেক হাসপাতালের ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. তানজিলা তাবিব চৌধুরী, রেকর্ড কিপার (বর্তমানে টেন্ডার ইনচার্জ) মঈনুদ্দীন আহমেদ ও তার স্ত্রী হাসপাতালের অফিস সহকারী কানিছ ফাতেমা।

দুদক সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এ হাজির হন তাকবির হোসেন। পরবর্তীতে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে ব্লাড ব্যাংকসহ চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। একই সাথে এ কর্মচারীর লিখিত বক্তব্য রেকর্ড করেন দুদক টিম। যাতে তিনি কর্ণফুলী ব্লাড ব্যাংকে স্ত্রীর নামে শেয়ার থাকার কথা স্বীকার করেন। একই সাথে দুদকের কাছে স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র ও ব্যাংক হিসেবের তথ্যও প্রদান করেন বলে জানিয়েছেন দুদক সূত্র।

এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মো. তাকবির হোসেন গতকাল মুঠোফোনে পূর্বকোণকে বলেন, ‘দুদকের অনুসন্ধানের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একটি চিঠি দিয়েছিল। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে দুদক কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। দুদক এনআইডিসহ কিছু তথ্য চেয়েছে, তা প্রদান করেছি।’ ‘কর্ণফুলী ব্লাড ব্যাংকের শেয়ার নেয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি তা অকপটে স্বীকার করেন। ’

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট