চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখে করলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১:৫৯ অপরাহ্ণ

করলার তিতা স্বাদ সবার পছন্দ না হলেও এর রয়েছে অসম্ভব স্বাস্থ্যগুণ। যা মানব শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত করলা খাওয়ার অভ্যাস শরীরে প্রচুর পুষ্টি উপাদানের সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। করলা মূলত এক প্রকার তরকারি। বেশিরভাগ মানুষই করলা বা উচ্ছে তরকারি, ভাজি এবং ভর্তা হিসাবে খেয়ে থাকে। করলায় পালং শাকের চেয়ে দ্বিগুণ ক্যালশিয়াম এবং কলার চেয়েও দ্বিগুণ পটাশিয়াম রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে করলা অত্যন্ত কার্যকরী। করলা ইনসুলিন রেজিস্টেন্স কমিয়ে রক্ত থেকে শরীরের কোষগুলোর সুগার গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া শরীরের কোষের ভিতর গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়াও বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের সুগার কমে যায়। করলা রক্তের দূষিত উপাদান দূর করে রক্তকে বিশুদ্ধ করে। এলার্জি জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। করলায় আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে বিটা ক্যারোটিন খুবই উপকারী। তাই যাদের চোখের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত করলা খেলে চোখ ভালো থাকবে। করলাতে থাকা এনেহলমিন্টক কম্পাউন্ডস কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে। তাই খালি পেটে করলার জুস পান করা উত্তম। নিয়মিত করলা খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। করলার ভিটামিন-সি ত্বক ও চুল ভালো রাখে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং রক্ত পরিষ্কার করে। সবচেয়ে বড় গুণ এটি বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া যে কোনো ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে লড়তে সাহায্য করে। নিয়মিত করলা খেলে সর্দি, কাশি, মৌসুমী জ্বর ও অন্যান্য ছোটখাটো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। করলায় রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টিকারী লুটিন এবং ক্যানসার প্রতিরোধকারী লাইকোপিন। গবেষকদের মতে করলা ক্যান্সাররোধী হিসাবে কাজ করে। যেমন লিভার ক্যান্সার, লিউকেমিয়া, মেলানোমা ইত্যাদি প্রতিরোধ করে থাকে। করলা রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল বাড়ায়। এর ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমতে পারে না এবং হার্ট এ্যাটাকের প্রবণতা কমে যায়। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের দূষণ দূর করে। হজম প্রক্রিয়ায় গতি বাড়ায়। পানির সঙ্গে মধু ও করলার রস মিশিয়ে খেলে এ্যাজমা, ব্রংকাইটিস ও গলার প্রদাহে উপকার পাওয়া যায়।
করলার বড় গুণ হচ্ছে এটি হজমের জন্য উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এর ভূমিকা অনেক। পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা দূর কয়। করলা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া খাবারে রুচি আনে, বাতের ব্যাথা নিরাময় করে, করলার রস শক্তিবর্ধক হিসেবেও কাজ করে। এটি স্ট্যামিনা বাড়ানোর পাশাপাশি ভালো ঘুমে সহায়তা করে। এছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, এন্টি অক্সিডেন্ট, লৌহ এবং ফাইবার। যা সাধারণত বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে সহায়তা করে থাকে। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত করলা রাখা খুব প্রয়োজন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট