চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

কোনটা সাধারণ ফ্লু আর কোনটা করোনা

কোনটা সাধারণ ফ্লু আর কোনটা করোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৭:৩৭ অপরাহ্ণ

অনেকেই ঋতু পরিবর্তনের এ সময়ে ছোঁয়াচে ফ্লু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। একইসাথে বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা মহামারি। এ দুই রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ একই হওয়ার কারণে ফ্লু না করোনা কীসে আক্রান্ত হয়েছেন তা বুঝতে পারা কঠিন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ দুই রোগের পার্থক্য নিশ্চিত হতে অবশ্যই পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

সাধারণত ফ্লু বা করোনা রোগের লক্ষণগুলো একই। যেমন- জ্বর, শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা বা জ্বালাপোড়ার অনুভূতি, কফ, নিশ্বাসের সমস্যা, ক্লান্তি বা অবসাদ, মাথাব্যথা- এসব। তা সত্ত্বেও এ দুই রোগের কিছু পার্থক্য আছে। পার্থক্যগুলো হল:

১. এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যেই সাধারণ ফ্লুতে আক্রান্ত রোগী সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন। কিন্তু করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে গিয়ে বেশি আক্রান্ত হন ও তারা দীর্ঘ সময় অসুস্থ থাকেন।

২. করোনা আক্রান্তরা গন্ধ বা স্বাদের অনুভূতি পান না। অন্যদিকে ফ্লুতে আক্রান্ত হলে এ সমস্যা হয় না। যদিও করোনা আক্রান্ত সব রোগী স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারিয়ে ফেলেন তেমনটা দেখা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ড্যানিয়েল সমন বলেন, ফ্লু এবং করোনা একই সঙ্গে এ দুই রোগেও কেউ কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। আক্রান্তের মুখ বা নাক থেকে নিঃসৃত ড্রপলেট এর মাধ্যমে সাধারণ ফ্লু বা নভেল করোনাভাইরাস ছড়ায়। প্রাথমিকভাবে কেউ আক্রান্ত হলেও এর লক্ষণ প্রকাশ নাও পেতে পারে। ফলে বুঝতে পারার আগেই এ দুই ভাইরাস বহনকারী ব্যক্তি তা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন।

অপরদিকে, ফ্লুতে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে দুই থেকে চার দিনের মধ্যে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেখানে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ প্রকাশ পেতে দুই থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ড্যানিয়েল সমন বলেন, একজন ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তি করোনার তুলনায় অনেক বেশি মানুষের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে পারে। ফ্লু আক্রান্তরা খুব জটিল পর্যায়ে চলে যান না। তবে মুখে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও হাত ধোয়ার মধ্য দিয়ে ফ্লু বা করোনা দুই রোগের সংক্রমণকেই কমিয়ে রাখে।

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট