চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

অনেক রোগের মহৌষধ লবঙ্গ

অনলাইন ডেস্ক

২২ আগস্ট, ২০২০ | ২:১৪ অপরাহ্ণ

রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় লবঙ্গ। তবে ইতিহাস ও ভেষজ হিসেবে এর ব্যবহার অতি সুবিদিত নয়। অতি প্রাচীনকাল থেকেই লবঙ্গের ব্যবহার প্রচলিত ছিল। লবঙ্গে আছে জীবাণুনাশক শক্তি। লবঙ্গের প্রধান রাসায়নিক উপাদানগুলো হলো- ইউজেনল ও ক্যারিওফাইলিন।

USDA-এর রেফারেন্স অনুসারে ১০০ গ্রাম লবঙ্গে ৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম টোটাললিপিড, ২ গ্রাম সুগার, ২৭৪ কিলো-ক্যালোরি শক্তি ও ৩৩ গ্রাম ডায়েটারিফাইবার থাকে।
‘আয়ুর্বেদিক রিসার্চ সেন্টার অফ মিনেসোটা’ তাদের প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, খাওয়ার আগে বা পরে মাত্র দু’টি লবঙ্গের যথাযথ ব্যবহার বহু রকমের রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা-

১. লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ফ্রি রেডিকেলস কমাতে সাহায্য করে। লবঙ্গের একটি উপাদান হল ইউজেনল, যা প্রাকৃতিক এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।

২. এক চা চামচ (৫ গ্রাম) লবঙ্গে পাওয়া যায় কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন কে ও ম্যাঙ্গানিজ়। মস্তিষ্কের বিভিন্ন কাজকর্ম সুষ্ঠু রাখতে ও হাড় শক্ত করতে ম্যাঙ্গানিজ় খুব জরুরি। ম্যাঙ্গানিজের একটি উৎকৃষ্ট উৎস হল লবঙ্গ।

৩. লবঙ্গের আর একটি উপাদান হল নাইজেরিসিন। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই উপাদানের জন্যই রক্ত থেকে শর্করা বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেয়া, ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়ানো ও ইনসুলিন নিঃসৃত হওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর মতো কাজ ভালোভাবে হয়। তাই মধ্য মাত্রার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে লবঙ্গ ভালো কাজে দেয়।

৪. সর্দি-কাশির মহৌষধ হিসেবে লবঙ্গ বহু বছর ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ চিবিয়ে রস গিলে খেলে বা লবঙ্গ মুখে রেখে চুষলে সর্দি, কফ, ঠাণ্ডা লাগা, অ্যাজমা, গলা ফুলে ওঠা, রক্ত পিত্ত আর শ্বাস কষ্টে সুফল পাওয়া যায়।

৫. সংক্রমণ, স্ট্রেস বা জিনগত কারণে পেপটিক আলসার বা স্টমাক আলসারের সমস্যা বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গের এসেনশিয়াল অয়েল গ্যাস্ট্রিক মিউকাসের উৎপাদনে সাহায্য করে। এই মিউকাসই সংক্রমণের হাত থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করতে ঢাল হিসেবে কাজ করে।

৬. সাইনোসাইটিস রোগে লবঙ্গ খুব উপকারি। সাইনোসাইটিসের রোগীদের চিকিৎসায় লবঙ্গ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লবঙ্গে বিদ্যমান ইগুয়েনাল নামে একটি উপাদান আছে, যা সাইনাসের কষ্ট কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. লো-বোন মাস এমন একটি অবস্থা, যা বয়োজ্যেষ্ঠদের মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, লবঙ্গের উপাদান হাড়ের জোর ও বোন ডেনসিটি বাড়াতে সাহায্য করে।

৮. লবঙ্গ ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ব্রণের দাগ দূর করতে লবঙ্গের পেস্ট ব্রণের ওপরে দিয়ে রাখুন। লবঙ্গ খেলেও ব্রণ হবে না।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট