গতকাল রবিবার (৩১ মে)জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং এর অধীন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গত ২৬ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এইডস মশার আবাসস্থল পরিচ্ছন্ন রাখার কার্যক্রম তদারকিতে উপসচিব ও নিম্ন পদের কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধ সেল’ গঠন করতে কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চেয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের চিঠি পাঠায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার (৩১ মে) সাতটি নির্দেশনা দেয়া হয় জনপ্রশাসণ মন্ত্রনালয় থেকে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন।
“ওই নির্দেশনার আলোকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য এখন থেকে কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।”
নির্দেশনাগুলো হলঃ
# অফিস কক্ষ, ওয়াশরুম, অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র, পরিত্যক্ত বোতল, টায়ার-টিউব, ডাবের খোসা, অফিসের আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
# আঙ্গিনা, ওয়াশরুম, বাসস্থানসহ এর আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
# ফুলের টব, বাসস্থানের ছাদ বাগানসহ পানি জমে থাকে এমন সব পাত্র অপসারণ বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে।
# ডেঙ্গু প্রতিরোধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত উপায়গুলো প্রয়োগ করতে হবে।
# গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে এই মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।
# ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য ফোকাল পয়েন্ট ও বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নিয়োগ করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।
# এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
মশাবাহিত এ রোগ ডেঙ্গুতে গতবছর ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের।
তবে দেশের সবগুলো হাসপাতালে ভর্তি এবং বাসায় থাকা রোগীদের তথ্য স্বাস্থ্য অধিদ্প্তরে না আসায় প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার কথা।
এরপর চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাংলাদেশে দেখা দেয় মার্চের শুরুতে। এই সঙ্কটের সময়ে ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরে যেন আবার ডেঙ্গুর প্রার্দুভাব বাড়তে না পারে, সে বিষয়ে উচ্চ আদালত থেকেও সিটি করপোরেশনগুলোকে সতর্ক করা হয়।
পূর্বকোণ/ এএ