চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

বন্ড সুবিধা থাকলে বিশেষ সহায়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ অক্টোবর, ২০১৯ | ১০:৩৬ অপরাহ্ণ

সরকার তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সুবিধা আরও বাড়িয়ে দিল। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘোষিত এক  শতাংশ হারে বিশেষ নগদ সহায়তা পাবে। যেসব রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিউটি ড্র ব্যাক বা বন্ড সুবিধা পাচ্ছে তারাও। একই সঙ্গে ইপিজেড ও ইজেডে অবস্থিত দেশি মালিকানাধীন কারখানাগুলো থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে রপ্তানির বিপরীতেও এ সুবিধা দেয়া হবে। তবে এই নগদ সহায়তা পাওয়ার জন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কমপক্ষে বাংলাদেশে ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করতে হবে হবে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে, এ শিল্পের প্রচলিত নগদ সহায়তার পাশাপাশি এক শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা পাবে। কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠান কী ধরনের রপ্তানির বিপরীতে এই সুবিধা পাবে তা স্পষ্ট ছিল না। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক তা স্পষ্ট করে নতুন সার্কুলার জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, তারাই পাবে যারা এই এক শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা প্রধানত বন্ডের অধীনে কাঁচামাল আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডায় রপ্তানি করবে। আগে ইপিজেড ও ইজেডের প্রতিষ্ঠান এই সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত ছিল না, এখন তারাও পাবে।

চলতি অর্থবছরের অর্থমন্ত্রী  বাজেটে তৈরি পোশাক খাতে এক শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তার ঘোষণা দেন। এজন্য বাজেটে অতিরিক্ত ২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আর মোট নগদ সহায়তার জন্য ৭ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নগদ সহায়তা খাতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত তৈরি পোশাকের নিট এফওবি মূল্যের ওপর এই নগদ সহায়তা দেয়া হবে। রপ্তানি পণ্যের হ্যান্ডলিং, মানোন্নয়ন, প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যয় এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিবহন ব্যয়, ফ্রেইট চার্জের বিপরীতে এই সহায়তা দেয়া হবে। টিটির মাধ্যমে অগ্রিম রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসিত হলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিপরীতে সহায়তা দেয়া হবে। তবে অগ্রিম রপ্তানিমূল্য কোনো এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে এলে তার বিপরীতে নগদ সহায়তা দেয়া হবে না।

পূর্বকোণ-রাশেদ

শেয়ার করুন