চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দু’ পরিচালক পদে নির্বাচন কাল

ইফতেখারুল ইসলাম

১১ নভেম্বর, ২০২০ | ২:১০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) দুই পরিচালক পদে নির্বাচন কাল (বৃহস্পতিবার)। এবারের নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীদের লক্ষ্য খুঁড়িয়ে চলা সিএসই’কে পুনরুজ্জীবিত করা। সিএসই’র লেনদেন বাড়ানো। এস্ট্রেটেজিক পার্টনার আসার পরিবেশ তৈরি করে পার্টনার খুঁজে বের করাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা ।

পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এফসিএমএ, আলফা সিকিউরিটিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী, ডি.এন সিকিউরিটিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমদাদুল হক চৌধুরী, টেন স্টারস প্রাইভেট লি. এর পরিচালক ফারহানা আকতার এবং সিলেটের এস আর ক্যাপিটাল লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান।

সিএসই’র কোম্পানি সচিব রাজীব সাহা পূর্বকোণকে জানান, দুটি শূন্য পদে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। বার্ষিক সাধারণ সভাও সেদিন বিকালে হবে। সবকিছু হবে অনলাইনে। ভোটার ১৪৫ জন। অনলাইনে ভোট নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ইতিমধ্যে তিন বার মক নির্বাচন করা হয়েছে।

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এফসিএমএ পূর্বকোণকে বলেন, আমরা যে প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সেই প্রেক্ষাপট এখনো বিদ্যমান থাকলেও এর পারফর্মেন্স আশানুরূপ নয়। কারণ অতীতে এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ছিলেন সবাই চট্টগ্রামের বাইরের লোক। আঞ্চলিক স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে যে ভূমিকা পালন করার কথা ছিল তারা তা করতে পারেননি। দুঃখের সাথে বলতে হয় প্রাক্তন যেসব প্রেসিডেন্ট ছিলেন, দুই-একজন ছাড়া বাকিরা বার্ষিক সাধারণ সভায় পর্যন্ত উপস্থিত হননি। চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয়, শুধুই নামে। প্রত্যাশা ছিল চট্টগ্রামে একটি স্টক এক্সচেঞ্জ হলে নীতি নির্ধারকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা মিলবে। বাস্তবে মিলেনি। দুটি স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য একই ধরনের নিয়ম চালু আছে। ছোট স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে এর একটা ভিন্ন বিজনেস রুলস হওয়া উচিত ছিল, অতীতের দায়িত্বশীলরা তা আদায় করতে পারেননি। অনেক কিছু আছে যা বাস্তবায়ন করা গেলে সিএসই আলাদা সত্ত্বা হিসেবে টিকে থাকবে। এখন যেভাবে চলছে সেভাবে চলতে থাকলে আর্থিক কারণে একটা সময় বন্ধ হয়ে যাবে। বিভিন্ন ঘাটতি দূর করতে হবে। এখানে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। বাকিদের সহযোগিতায় এসব সমস্যা নিরসনের জন্যই আমি প্রার্থী হয়েছি।

শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের অবস্থা খুবই খারাপ। সিএসইকে এই অবস্থা থেকে পুনরুজ্জীবন দরকার। স্টেক হোল্ডারদের বিশেষত ডুয়েল ট্রেক হোল্ডারদের সহযোগিতায় সিএসই’তে লেনদেনের পরিমাণ বাড়ানো এবং বিএসইসি’র সাথে দেন দরবার করে সিএসই’র জন্য বিভিন্ন সুবিধা আদায় করা হবে। চট্টগ্রামে ব্রোকার্স এসোসিয়েশন নেই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে এসোসিয়েশন গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হবে। একইসাথে এস্ট্রেটেজিক পার্টনার যোগাড় করা হবে। স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বাড়ানো গেলে সহজেই এস্ট্রেটেজি পার্টনার পাওয়া যাবে।

এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, এবারের নির্বাচনে তার স্লোগান হল ‘সিএসই উইল আপটান’। নির্বাচিত হলে সিএসই’র উত্থানে কাজ করবেন। সকলের পরামর্শ নিয়েই ঐক্যবদ্ধভাবে সিএসই’র জন্য কাজ করবেন। সমস্ত শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আরো সুবিধাজনক ডিজিটাল ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, সিএসই’র ইমেজ পুনরুদ্ধার করা অন্যতম লক্ষ্য তার। এছাড়া বিদেশি শেয়ারহোল্ডার ও টিআরসি হোল্ডারদের আগ্রহ বাড়ানো এবং সিএসই’র বাজারের ক্রমবৃদ্ধি করার লক্ষ্যও রয়েছে।

ফারহানা আকতার বলেন, সিএসই’র টার্নওভার কিভাবে বাড়ানো যায় তা আমার প্রথম প্রচেষ্টা হবে। এছাড়া ডিজিটালাইজেশন করাও তার অন্যতম উদ্যোগ হবে। অনেক বিও একাউন্ট মেনটেইন করতে হয়। ডিজিটাল করা গেলে কাজ অনেক সহজ হবে। যেসব সিঙ্গেল ব্রোকারেজ হাউস তারা অনেক সময় সমস্যায় পড়ে। তখন তাদের হয়ে কথা বলার লোক কম থাকে। তাদের হয়ে কথা বলতে চাই। ছোট হাউসগুলোর অবস্থা ২০১০ সালের পর থেকে খুবই খারাপ। ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে হাউস কোটায় আবেদন করতে পারি না। প্রায় এক কোটি টাকা মার্কেট প্রাইসে সেদিন টাকা রাখতে হয়। নির্বাচিত হয়ে সেটা ২৫ লাখ টাকায় আনার চেষ্টা করবো। তাহলে ছোট হাউসগুলো অন্তত কিছুটা হলেও রিকভারি করতে পারবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট