চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

৭২ শতাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্রণোদনার টাকা পায়নি: সানেম

৭২ শতাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্রণোদনার টাকা পায়নি: সানেম

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ নভেম্বর, ২০২০ | ৭:৩৯ অপরাহ্ণ

৭২ শতাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান করোনার সংকট মোকাবিলায় সরকার–ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের টাকা পায়নি। সরকারের এই সুবিধা নিয়েছে মাত্র ১৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। আর বাকি ৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা প্যাকেজ সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্যই জানেন না। আজ শনিবার (৭ নভেম্বর) এক ওয়েবিনারে একটি জরিপের ফলাফলে এই চিত্র দেখা গেছে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) ‘কোভিড–১৯ ও ব্যবসায় আস্থা: অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে’ শীর্ষক এই জরিপ পরিচালনা করে। এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহায়তায় প্রথমে এপ্রিল-জুন ও পরে জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য কেমন ছিল, তা নিয়ে ৫০২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর এ জরিপ করা হয়।

সানেম’র নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন। বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা প্রকাশিত জরিপের ফলাফলের ওপর আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাশরুর রিয়াজ, এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ বক্তব্য দেন।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, জরিপে অংশ নেয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ১৯ শতাংশ প্রণোদনার অর্থ পেয়েছে। তবে বড় প্রতিষ্ঠান বেশি পেয়েছে। ৩০১টি ছোট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রণোদনা পেয়েছে ৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। ২০ শতাংশ সুবিধা পেয়েছে মাঝারি আকারের ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে। ১৫৭টি বড় প্রতিষ্ঠান জরিপে অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে ৪১ শতাংশ প্রণোদনার টাকা পেয়েছে। প্রণোদনার অর্থ পেতে দীর্ঘ প্রক্রিয়া, ব্যাংকের সব শর্ত মানতে না পারা, প্রণোদনা সম্পর্কে তথ্যের অভাব—মূলত এসব কারণেই ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো প্রণোদনার টাকা পাচ্ছে না।

সানেম’র মতে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে গত এপ্রিল-জুন সময়ের তুলনায় জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আস্থা বেড়েছে। কিন্তু কোভিড–১৯ আসার আগে যে ধরনের আস্থা ছিল, তেমন আস্থা আসেনি ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, প্রণোদনার টাকা ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ দেয়া হয়েছে। এ কারণে পুরোনো গ্রাহকেরা বেশি অর্থ পেয়েছেন। ব্যাংক নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা ছোট ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না।

ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খানের বলেন, ছোট ব্যবসায়ীরা করোনায় নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারছেন না। বড় প্রতিষ্ঠান হয়তো অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ এনে নিজেদের টিকিয়ে রাখছে।

সহজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি মালিহা এম কাদির জানান, করোনার প্যাকেজে স্টার্টআপ ব্যবসার জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। বাজেটের ঘোষিত তহবিলে টাকা পেতে অনেক সময় লাগবে।

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট