চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

শর্ট শিপমেন্ট তথ্য হালনাগাদে সহজীকরণ চায় বিজিএমইএ

সারোয়ার আহমেদ

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৩:২২ অপরাহ্ণ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আওতাধীন এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে সফটওয়ারে যুক্ত হচ্ছে রপ্তানিকারকদের শর্ট শিপমেন্ট তথ্য। পূর্বে এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে শর্ট শিপমেন্টের তথ্য যুক্ত করার কোন সুযোগ না থাকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শর্ট শিপমেন্ট তথ্য সম্বলিত সার্টিফিকেট ইস্যু করে ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হতো। পরবর্তীতে শর্ট শিপমেন্ট বিষয়ক জটিলতার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের চহিদা অনুযায়ী এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে শর্ট শিপমেন্টের তথ্য যুক্ত করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবে সেটি সম্পন্ন করতে হয় কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার বা সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে। অপরদিকে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাস্টমস হাউজ ও বেসরকারি ডিপুগুলোতে একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হয় বলে শর্ট শিপমেন্টের তথ্য এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে যুক্ত করতে সময় লাগে। এ কাজ সহজীকরণের জন্য তৈরি পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় সংগঠন বিজিএমইএ চান রাজস্ব কর্মকর্তারা শর্ট শিপমেন্টের তথ্য এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে হালনাগাদ করুক।

এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে রেগুলার শর্ট শিপমেন্টের তথ্য এসাইকুডায় আপলোড হচ্ছে। একই সাথে পূর্বের শর্ট শিপমেন্ট সার্টিফিকেট নিয়ে রপ্তানি করা তথ্যও এসাইকুডায় যুক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজ কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তারাই করতে পারেন। এতে দ্রুত কাজটি শেষ করা যাবে এবং শর্ট শিপমেন্টের বাকি পণ্যও দ্রুত রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
এদিকে শর্ট শিপমেন্টের তথ্য বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার মো. আল-আমিন জানান, শর্ট শিপমেন্টের তথ্য এসাইকুডায় হালনাগাদের সাথে অনেক বিষয় জড়িত। যেমন, রপ্তানিপণ্য তৈরির জন্য বিদেশ থেকে যে কাঁচামাল আমদানি করা হয় সেগুলো শুল্কমুক্ত হিসেবে খালাস হয়। কিন্তু শর্ট শিপমেন্ট হওয়ায় ওই কাঁচামাল রয়ে যায়। সেসব কাঁচামাল পুনরায় রপ্তানি পণ্য তৈরি হয়ে বিদেশে রপ্তানি হয়েছে কিনা সেটিও হিসেবে রাখতে হয়। এমন কিছু তথ্য জটিলতার কারণে এখন পর্যন্ত ওই কাজ ডেপুটি কমিশনার ও সহকারী কমিশনার পর্যন্ত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশীয় কোন পণ্য রপ্তানিকারক যত ডলারের পোশাক রপ্তানি করবে তার সমপরিমাণ শিপিং বিল ও ইএক্সপি সনদ নিতে হয়। অনেক সময় পণ্যের গুণগত মান খারাপ হলে কিংবা নানা কারণে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডারের চেয়ে কম পণ্য পাঠাতে বলেন। আবার অনেক সময় কারখানা মালিকরাও নানা কারণে কম পণ্য পাঠাতে বাধ্য হন। এক্ষেত্রে কাস্টমস থেকে শর্ট শিপমেন্ট সার্টিফিকেট নিতে হত। এত বছর সেই কাজ ম্যানুয়ালি হয়ে আসছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিয়েছিল, শর্ট শিপমেন্ট সার্টিফিকেট কাস্টমসের এসাইকুডা সিস্টেমে আপলোড থাকতে হবে। তবে সম্প্রতি এনবিআর তাদের এসাইকুডা ওয়ার্ড সিস্টেমে শর্ট শিপমেন্টের তথ্য হালনাগাদ করতে কাস্টমস হাউজকে নির্দেশনা দিয়েছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট