চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গাড়ি কেনায় ক্রেতার পছন্দের অধিকার থাকা দরকার: বারভিডা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৭:৩০ অপরাহ্ণ

আগামী কয়েকবছরের মধ্যে দেশে গাড়ি তৈরি করতে চায় সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় কয়েক বছরের মধ্যে বিদেশ থেকে ব্যবহৃত গাড়ি বা রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানি বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সরকারের এমন ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্যবহৃত গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডা।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বারভিডার নেতৃবৃন্দ জানান, তারা চান দেশীয় গাড়ির শিল্প কারখানা গড়ে উঠুক। পাশাপাশি ক্রেতাদের ‘চয়েসের’ স্বাধীনতাও রাখা উচিত। তবে সরকার বলছে, এতে কিছু ব্যবসায়ী আপত্তি করলেও দেশের স্বার্থে এটা করা জরুরি।

সরকারের ‘অটোমোবাইল ইন্ড্রাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট পলিসি-২০২০’ খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, স্থানীয়ভাবে সংযোজিত গাড়ির বাজার তৈরি করার লক্ষ্যে ব্যবহৃত গাড়ির আমদানি আস্তে আস্তে কমিয়ে দেয়া হবে। এভাবে ছয় বছরের মধ্যে সব ধরণের রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে। বর্তমানে পাঁচ বছর পর্যন্ত পুরনো গাড়ি আমদানি করা যায়।

প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বছর থেকে তিন বছরের বেশি পুরনো গাড়ি আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে। তৃতীয় বছর থেকে তিন বছরের বেশি পুরনো গাড়ি আমদানি বন্ধ, চতুর্থ বছর থেকে দুই বছরের বেশি পুরনো এবং পঞ্চম বছর থেকে এক বছরের বেশি পুরনো গাড়ি আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে। ষষ্ঠ বছর থেকে পুরোপুরি রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, দেশি সংযোজিত গাড়ির বাজার উৎসাহিত করতে পুরনো গাড়ির ওপর ১০ শতাংশের বেশি অবচয় হিসাব করা যাবে না। দেশি সংযোজিত গাড়ি কিনতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নানা প্রকল্পে সরকার সহায়তা করবে।

বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারিভাবে প্রগতি ইন্ড্রাস্ট্রিজ জাপানি কোম্পানি মিতৎসুবিসির নকশায় ও পিএইচপি মোটরস নামের চট্টগ্রামভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ার প্রোটন গাড়ি সংযোজন করছে। ভারতীয় টাটা এবং মাহিন্দ্রা এন্ড মাহিন্দ্রা কোম্পানিও বাংলাদেশে গাড়ি সংযোজন কারখানা গড়ে তোলার আগ্রহ দেখিয়েছে।

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট