বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় প্রথমবারের মতো নৌপথে বাণিজ্য শুরু হতে যাচ্ছে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। বাংলাদেশের দাউদকান্দি ও ত্রিপুরার সোনামুড়ার মধ্যে চালু হওয়া অভ্যন্তরীণ নৌপথ পাড়ি দিয়ে সড়কপথে আগরতলায় যাবে পণ্যের চালান। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব তার ফেসবুক পেজে আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) এ তথ্য জানান।
গত মে মাসে ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল যাত্রাপথের অংশ হিসেবে ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ ও বাংলাদেশের নৌসচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির অন্তর্গত ছিল সোনামুড়া-দাউদকান্দি নৌপথ। পরে ৪ জুলাই ভারত-বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্পের জন্য গোমতী নদীর ওপর এক ভাসমান জেটির উদ্বোধন করা হয়।
গোমতী নদীপথে ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লার দাউদকান্দি পর্যন্ত নদীপথটি ৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। এ নৌপথের ৮৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি পথ ভারতে। দাউদকান্দি থেকে গোমতী নদী দিয়ে মুরাদনগর, দেবীদ্বার, ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং, কুমিল্লা সদর ও বিবিরবাজার হয়ে সোনামুড়ায় পণ্য নেয়া হবে। সেখান থেকে সড়কপথে পণ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় যাবে। এখন থেকে এ নৌপথ বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে সরাসরি পণ্য আমদানি-রপ্তানির রুট হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এ পথে ৫০ টন পণ্যবাহী নৌযান চলতে পারবে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব তার ফেসবুক পেইজে বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে গোমতী নদীপথে সোনামুড়া থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লার দাউদকান্দি পর্যন্ত পরীক্ষামূলক নৌ চলাচল শুরু হতে যাওয়ায় ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে চলেছে ত্রিপুরা।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে বার্জে চেপে এ সফরেই সোনামুড়া হয়ে ৫০ মেট্রিক টন সিমেন্ট ত্রিপুরায় পৌঁছাবে। এর আগে ত্রিপুরার ইতিহাসে জাহাজে চেপে কোনো পণ্য পৌঁছায়নি বলেও জানান তিনি।
পূর্বকোণ/আরপি