চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

করোনায় বেকার সোয়া তিন লাখ গার্মেন্টস কর্মী

করোনায় বেকার সোয়া তিন লাখ গার্মেন্টস কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ আগস্ট, ২০২০ | ১১:২৭ অপরাহ্ণ

৮৭টি কারখানায় ২৬ হাজার পোশাকশ্রমিক করোনাকালীন সংকটে ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন। অনেককেই ছাঁটাই করা হয়েছে আইন না মেনে। আবার বকেয়া বেতন-ভাতা ও ন্যায্য ক্ষতিপূরণও পাচ্ছেন না অনেকেই। তাছাড়া করোনায় বন্ধ ও লে-অফ হয়েছে এক হাজার ৯১৫টি পোশাক কারখানা। সবমিলিয়ে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৪ শ্রমিক বেকার হয়েছেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) ‘কোভিড-১৯: তৈরি পোশাক শিল্পে শোভন কাজের পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায়।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিলসের উপদেষ্টা ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) যুগ্ম সমন্বয়কারী নইমুল আহসান জুয়েল। এতে বক্তব্য দেন ইন্ডাস্ট্রি–অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) সাধারণ সম্পাদক চায়না রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ওয়ার্কার্স সলিডারিটির সভাপতি রুহুল আমিন, বিলস পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন প্রমুখ। বিলস’র পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, লকডাউনে মজুরি না পাওয়া, কারখানা খোলা ও বন্ধ রাখার বিষয়ে বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্তের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হোন পোশাকশিল্পের শ্রমিকেরা। এছাড়া করোনাকালে আবাসস্থল সংকট, বিনা নোটিশে শ্রমিক ছাঁটাই, কারখানা লে-অফ ও মজুরির দাবিতে বিক্ষোভসহ নানা কারণে শ্রমিকদের টিকে থাকতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

শ্রমিকনেতারা যেসব কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে সেসব কারখানা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেন, শ্রমিক ছাঁটাই হলেও সরকারের কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। তবে শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়া থেকে শুরু করে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন বন্ধ রাখা হয়েছে সবই। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কাজ করানোর কথা ছিল। তা সত্ত্বেও অধিকাংশ কারখানায় তা মানা হচ্ছে না।

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট