উল্লেখযোগ্যভাবে সফল, দেশের অন্যতম ইনোভেটিভ এবং খুবই কম সময়ে সাড়া জাগানো ফার্নিচার ব্র্যান্ড, ISHO (ইশো) গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছিল। ঢাকায় সফলভাবে অফলাইন এবং অনলাইন ব্যবসায় পরিচালনার পর, ISHO এখন চট্টগ্রামবাসীদের পরিচয় করিয়ে দিতে চায় ফার্নিচার জগতের বেশকিছু নতুন ডিজাইনের সাথে; যা শুধু আকর্ষণীয় ও মডার্নই নয়, সেই সাথে রুচিশীলও বটে!
ইতিমধ্যেই ১৪টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ISHO’র আছে ৬০০টি ভিন্ন ডিজাইনের প্রোডাক্ট; বিশাল এ কালেকশন থেকে চট্টগ্রামবাসী খুঁজে নিতে পারবেন রুচি ও পছন্দভেদে তাদের বাসা এবং অফিসের জন্য মনমতো ফার্নিচার। বিশেষ করে ‘বাজারে কী পাওয়া যায়’ এবং ‘মডার্ন লাইফের চাহিদা কেমন’- এই দুইয়ের মাঝে এক সেতুবন্ধন তৈরি করে ISHO তাদের ফার্নিচারগুলো ডিজাইন করে । ISHO’র অন্যতম সেলিং পয়েন্ট- এটি অঞ্চলভেদে বৈশ্বিক কালচার, ট্রেন্ড ও ডিজাইন থেকে অনুপ্রাণিত; যা জিতে নিয়েছে অগণিত কাস্টমারের মন।
লিভিং রুম, ডাইনিং রুম, বেডরুম, স্টাডি ও অফিস থেকে শুরু করে ভিন্ন রুচির প্রায় সব ধরণের রুমের জন্য মানানসই ফার্নিচার সরবরাহ করে, এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের নতুন ও পুরানো ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করতে পারবে বলে ISHO প্রত্যাশা করে। বর্তমানে ISHO, তাদের ঈদ সেলের অংশ হিসাবে তাদের সমস্ত পণ্যগুলিতে 20% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট অফার দিচ্ছে।
ঘর ও স্পেস নিয়ে মানুষের চাহিদা ও ভাবনা বুঝতে পারা এবং সে অনুযায়ী ডিজাইন ও কনসেপ্ট নিয়ে আসতে পারাটাই ISHO’র সফলতার কারণ। স্মার্ট সিরিজ কালেকশন এবং ‘ব্লু-টুথ অটোম্যান’ থেকে শুরু করে, ‘ডর্মবক্স’ এর মতো co-living solution; এসব যুগান্তকারী কনসেপ্ট কেউ দেখেনি আগে। শুধু তাই নয়, ISHO’র আছে এর নিজস্ব ডিজাইন স্টুডিও, যা দেয় সব ধরণের ইন্টেরিয়র সমস্যার সমাধান। আর এই ‘ডর্মবক্স’ এবং ‘ডিজাইন স্টুডিও’ এই দুটি সুবিধাই পাবেন চট্টগ্রামের সম্মানিত কাস্টমারগণ।
শুরু থেকেই ISHO চায় তার কাস্টমারদের সন্তুষ্টিজনক সেবা নিশ্চিত করতে। আর তাই, কাস্টমারদের সর্বোচ্চ চাহিদা পূরণে শহরে থাকবে চট্টগ্রামের জন্য ডেডিকেটেড ওয়্যারহাউজ। করোনাকালীন সময়ে সবার নিরাপত্তা ও সন্তুষ্টির কথা মাথায় রেখে, ডিসটেন্স প্রোটোকল শিখিয়ে চট্টগ্রামের প্রত্যেক সার্ভিস এক্সিকিউটিভকে প্রদান করা হবে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিই।
ISHO’র প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রায়ানা হোসেইন বলেন, “আমি খুবই আনন্দিত যে ISHO চট্টগ্রামে চালু হয়েছে। এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার, তাই ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকেও আমি মনে করি এই সিদ্ধান্ত যথাযথ। বিগত বছরধরে এই শহরের অনেকেই আমাদের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং অবশেষে এটা ভেবে আমার ভালো লাগছে যে, এখন থেকে চট্টগ্রামবাসী আমাদের প্রোডাক্টগুলো আরও কাছ থেকে দেখতে ও জানতে পারবেন।
পূর্বকোণ/জি-আরপি