চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভারত থেকে পণ্য নিয়ে বন্দরের দিকে যাত্রা ‘এমভি সেঁজুতির’
ভারত থেকে পণ্য নিয়ে বন্দরের দিকে যাত্রা ‘এমভি সেঁজুতির’

ট্রান্সশিপমেন্ট

ভারত থেকে পণ্য নিয়ে বন্দরের দিকে যাত্রা ‘এমভি সেঁজুতির’

সারোয়ার আহমদ

১৭ জুলাই, ২০২০ | ১:০১ অপরাহ্ণ

ভারতের শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট (পুরাতন কোলকাতা পোর্ট) থেকে ৪ কন্টেইনার ট্রান্সজিট পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে কোস্টাল জাহাজ ‘এম ভি সেঁজুতি’। গতকাল বৃহস্পতিবার এই আনুষ্ঠানিক যাত্রার পতাকা উত্তোলন করেন ভারতের নৌ-প্রতিমন্ত্রী শ্রী মনসুখ মান্ডভিয়াজী। আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাহাজটি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট ছেড়ে যায়। তবে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসার আগে যাত্রাপথে ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকেও কিছু কন্টেইনার তুলবে।

এ বিষয়ে এমভি সেঁজুতির স্থানীয় এজেন্ট ম্যাংগো শিপিং লাইনের ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান পূর্বকোণকে বলেন, ‘ট্রানজিটের ৪ টিইইউস কন্টেইনারসহ মোট ১১১ টিইইউস কন্টেইনার নিয়ে এম ভি সেঁজুতি গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে রওনা দিয়েছে। আসার পথে ভারতের হলদিয়া পোর্ট থেকে আরও কিছু কন্টেইনার জাহাজে তোলা হবে’। তিনি আরও জানান, ‘জাহাজটি হলদিয়া পোর্ট পৌঁছাবে ১৮ জুলাই। সেদিনই হলদিয়া পোর্ট থেকে কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে যাত্রা করলে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে পৌঁছাতে পারবে বলে আশা করা যায়। এরপর বন্দর কাস্টামসের ফরমালিটিজ শেষে ভারতের ত্রিপুরায় যাবে ট্রানজিটের ৪ টিইইউস কন্টেইনার’।

জানা যায়, ৪ কন্টেইনারের মধ্যে ২ কন্টেইনারে রয়েছে টাটা স্টিলের টিএমটি স্টিল যা ট্রানজিটের মাধ্যমে ভারতের ত্রিপুরায় যাবে। এছাড়া বাকি ২ কন্টেইনারে রয়েছে ইটিসি এগ্রোর ডাল যা ট্রানজিটের মাধ্যমে ভারতের আসাম রাজ্যে যাবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক পূর্বকোণকে বলেন, ‘ভারতের শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট থেকে ট্রানজিট পণ্য নিয়ে এম ভি সেঁজুতি জাহাজটি রওনা দিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে ট্রানজিট চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি বার্থিং পাবে। এরপর কাস্টমস এর স্ক্যানিংসহ অন্যান্য ফরমালিটিজ শেষে ভারতের নিয়োগকৃত এজেন্টের মাধ্যমে পণ্যগুলো ত্রিপুরা ও আসামে যাবে’।

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্যবাহী কন্টেইনার পরিবহনের ট্রায়াল রান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস ও অন্যান্য জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত শুরু হলো ভারত-বাংলাদেশ ট্রান্সশিপমেন্ট। চট্টগ্রাম বন্দর ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে সড়কপথে কনটেইনারে পণ্য পরিবহনের জন্য দীর্ঘদিন নানা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। এসব বৈঠকে পণ্য পরিবহনে কি ধরণের জটিলতা আসতে পরে এবং কি কি শুল্ক আদায় হতে পারে তার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসব আলোচনার প্রেক্ষিতে দুটি ট্রায়াল রান চালু করে কি ধরণের জটিলতা আসতে পারে তা খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়। সেই ট্রায়াল রান গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

ট্রায়াল রানের জন্য প্রথম পর্যায়ে গত ১১ জুলাই শনিবার কলকাতার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯৫ মিটার লম্বা এমভি সেঁজুতি নামের কন্টেইনারবাহী জাহাজটি কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্টের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার ৪ কনটেইনার ট্রানজিট পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে উদ্দেশ্যে জাহাজটি ছাড়লো। এরপর ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ কোস্টাল এগ্রিমেন্ট’ অনুযায়ী বন্দর ও কাস্টমসের ফি পরিশোধের পর সড়কপথে কন্টেইনারগুলো আখাউড়া পাঠিয়ে দেয়ার কথা রয়েছে। সেই পথে ভারতের ট্রানজিট পণ্য যাবে আসাম ও ত্রিপুরায়।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট