চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আম্ফান সতর্কতা

জাহাজশূন্য করা হচ্ছে বন্দর

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ মে, ২০২০ | ৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে আসায় আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা এড়াতে আগাম সতর্কতা হিসেবে জাহাজশূন্য করা হচ্ছে বন্দরের জেটিগুলো। গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরে ১৭টি জাহাজ পণ্য নামানো জন্য জেটিতে ছিল। তার মধ্যে দুটি জাহাজ গতকাল বহির্নোঙরে পাঠানো হয়েছে। বাকি ১৫টি জাহাজ আজ (মঙ্গলবার) সকালের মধ্যে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে বন্দরের জেটি জাজাজশূন্য করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বন্দরে সচিব ওমর ফারুক পূর্বকোণকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আগাম নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিগুলো জাহাজশূন্য করা হচ্ছে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল বাতাসে জাহাজ জেটিতে এসে ধাক্কা দিয়ে বিপদ ঘটাতে পারে। তাই আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত ৫ থেকে ৬ এ উন্নিত হলেই বন্দর আগাম নিরাপত্তা জোরদার করে।
তিনি আরো বলেন, জেটির কার্যক্রম শিথিল করা হলেও পণ্য ডেলিভারির কাজ চালু আছে। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে পণ্য ডেলিভারিও বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এর বিপদ কেটে গেলে আবার জাহাজকে বর্থিং দেওয়া শুরু হবে। বন্দরের অপর এক সূত্র জানায়, ‘সাইক্লোন ডিজেস্টার প্রিপার্ডনেস এন্ড পোস্ট সাইক্লোন রিহ্যাবিলেশন প্ল্যান ১৯৯২’ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ৬ নম্বর সংকেতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করেছে। ভিএইচএফ সিস্টেমে বন্দরের সব জাহাজকে প্রয়োজনীয় বার্তা ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে বন্দরে জাহাজ শূন্য জেটির পণ্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট প্যাকিং করে ফেলা হচ্ছে যাতে ঘূর্ণিঝড়ে সেগুলোর ক্ষতি কম হয়। তবে সব জাহাজকে ইঞ্জিন চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্দর চ্যানেলের সব ছোট ছোট নৌযানকে শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্দরের সব নৌযানকে জরুরি মুভমেন্টের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বন্দরের নৌ ও পরিবহন বিভাগ দুটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রেখেছে জরুরি তথ্য আদান প্রদানের জন্য।
বঙ্গপোসাগরে বর্তমানে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় থাকা জাহাজ রয়েছে ৯৯টি। গতকাল সোমবার রাত পর্যন্ত জেটিতে ছিল ১৫টি জাহাজ। যার মধ্যে ১১টি কনটেইনার জাহাজ। সব মিলিয়ে গতকাল বন্দরের জেটিতে মোট জাহাজ ছিলো ১৭টি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট