চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াল ডিএপি সার কারখানা

পূর্বকোণ ডেস্ক

৬ মে, ২০২০ | ১:০৩ পূর্বাহ্ণ

ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার উৎপাদনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (ডিএপিএফসিএল)।

মঙ্গলবার (৫ মে) মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের রাঙ্গাদিয়ায় অবস্থিত বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন এ কারখানায় চলতি অর্থবছরে ডিএপি সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ হাজার মেট্রিক টন। বিপরীতে গত ৪ মে পর্যন্ত কারখানাটিতে ৬৪ হাজার ৭৬ মেট্রিক টন সার উৎপাদিত হয়েছে।

ডিএপিএফসিএল দেশের একমাত্র ডিএপি সার উৎপাদনকারী কারখানা। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে এ কারখানার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ছিল ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এ দুই বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলেও কারখানার প্রসেস ড্রাইয়ারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়। এর বিপরীতে ২৪ হাজার ২ মেট্রিক টন উৎপাদিত হয়। পরে প্রয়োজনীয় মেরামত শেষে চলতি অর্থবছরের জন্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬০ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত করা হয়।

এ প্রসঙ্গে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহিম বলেন, চলতি অর্থবছরে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৭০ দিন আগেই ডিএপিএফসিএল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে। বর্তমানে কারখানাটিতে পুরোদমে উৎপাদন চলছে। উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে কারখানাটিতে শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তা নির্বিশেষে সকলে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। চলতি বছর কারখানায় ডিএপি সার উৎপাদন ৭৫ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।

ডিএপি সার কৃষি উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উপকরণ। রবি জাতীয় শস্যসহ যে কোনও ধরনের ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী। বর্তমানে দেশে ডিএপি সারের মোট চাহিদা প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন। এর সিংহভাগই কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিএডিসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। তথ্যসূত্র:   ইউএনবি।

পূর্বকোণ/- আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট