চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

এপ্রিলেই প্রবাসীরা পাঠিয়েছে ৯ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ মে, ২০২০ | ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ

মহামারী করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের আয় (রেমিট্যান্স) পাঠিয়েছে পরিবার কাছে । গত এপ্রিল মাসেই প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৯ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ আয় এসেছে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ  ডলার। গত বছরের মার্চ মাসে এসেছিল ১৪৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। ফলে গত মার্চেই আয় কমে প্রায় ১২ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ১৪৫ কোটি ডলারের আয়। আর দেশে গত ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় আসে ১৬৯ কোটি ডলার, যা জানুয়ারিতে ৫ কোটি ডলার কমে নেমে যায় ১৬৪ কোটি ডলারে।

ধারণা করা হচ্ছে , বাংলাদেশি শ্রমিকেরা আছেন, এমন অনেক দেশ এখনো লকডাউন হয়নি। আবার লকডাউন হলেও পরিবার চালাতে ঋণ করে হলেও অনেকে টাকা পাঠাচ্ছেন। তবে এভাবে কত দিন চলবে, তা অনিশ্চিত। এখনই প্রবাসীদের সহায়তায় সরকারের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। আবার যাঁরা ফিরে আসছেন, তাঁদের সহায়তায় তহবিল গঠন প্রয়োজন।
জানা গেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে ভালো সূচক ছিল প্রবাসী আয়। করোনার কারণে কমে গেছে প্রবাসী আয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। সেই অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এর ফলে প্রবাসী আয় আসা বেড়ে গিয়েছিল। এখন করোনা মহামারি হওয়ায় তাতে প্রভাব পড়েছে।

জানা গেছে, যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসে, সেসব দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রেমিট্যান্স হাউস ও ব্যাংকগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশি শ্রমিকেরাও পড়েছেন বিপদের মুখে। দেশের প্রবাসী আয় আহরণের শীর্ষ ১৫টি উৎস দেশ হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, ইতালি, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও জর্ডান।

পূর্বকোণ/- আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট