চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শিশুখাদ্যের আমদানি শর্ত আগের মতোই

বন্দরে কন্টেইনার জট : এনবিআরের অফডক সিদ্ধান্তে পণ্য ডেলিভারির সাড়া নেই

সারোয়ার আহমদ

২৮ এপ্রিল, ২০২০ | ৬:৩৬ অপরাহ্ণ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কন্টেইনার ও জাহাজ জট কমাতে চট্টগ্রাম বন্দরের আশপাশে অবস্থিত বিকডার ১৯টি অফডকে ৩৮টি পণ্যের অতিরিক্ত সব ধরনের পণ্য সংরক্ষণ, আনস্টাফিং ও ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেয় গত ২৩ এপ্রিল। পরবর্তী তিনদিনে ওইসব অফডকে ৩ হাজার ৭৪৭ টিইইউস কন্টেইনার সংরক্ষণ করা হলেও আনস্টাফিং এবং ডেলিভারি হয়নি একটি কন্টেইনারও।

গত রবিবার অফডকগুলো থেকে ৫৫৬ টিইইউস কন্টেইনার আনস্টাফিং ও ডেলিভারি হলেও সেগুলো ছিল আগের নির্ধারিত ৩৮টি পণ্যের কন্টেইনার। কিন্তু নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এনবিআর এর নতুন অফডক সিদ্ধান্তে আসা ৩ হাজার ৭৪৭ টিইইউস কন্টেইনার থেকে একটি কন্টেইনারও ডেলিভারি নেয়নি কোন আমদানিকারক।

এদিকে, বন্দর সূত্র জানায়, গত ২৪ তারিখ থেকে পরবর্তী তিনদিনে মোট কন্টেইনার ডেলিভারি হয় ৪ হাজার ১১৭ টিইইউস। যা করোনা পূর্ববর্তী সময়ে বন্দরের একদিনের কন্টেইনার ডেলিভারির সমান। সূত্র জানায়, গত ২৪ এপ্রিল ১ হাজার ৩৮৮ টিইইউস, ২৫ এপ্রিল ১ হাজার ২৮৪ টিইইউস এবং ২৬ এপ্রিল ১ হাজার ৪৪৬ টিইইউস কন্টেইনার ডেলিভারি হয়।
৪৯ হাজার টিইইউস এর বেশি কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতার চট্টগ্রাম বন্দরে এখনো ৪৮ হাজার টিইইউস এর বেশি কন্টেইনার রয়েছে। এছাড়া এখনো বহির্নোঙ্গরে ২৮টি জাহাজ পণ্য খালাসের অপেক্ষায় আছে।

মূলত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্ট কন্টেইনার ও জাহাজ জট নিরসনে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও এনবিআর পৃথক পৃথক কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়। বিভিন্ন সুবিধা প্রদান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে বন্দরের কন্টেইনার জট কমানোই ছিল মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে গত ২৭ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আমদানিকৃত পণ্যের কন্টেইনারের স্টোরেন্ট চার্জ শতভাগ মওকুফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর অফডকগুলোতে বন্দরের কন্টেইনার স্থানান্তর করে বন্দরের কন্টেইনার চাপ কমাতে এনবিআর অফডকগুলোতে ৩৮ পণ্যের অতিরিক্ত ৬ ধরনের পণ্য সংরক্ষণ, আনস্টাফিং ও ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেয়।

গত ২১ এপ্রিলের ওই সিদ্ধাতেও কোন লাভ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ২৩ এপ্রিল সব ধরনের পণ্য অফডক থেকে ডেলিভারির সিদ্ধান্ত হয়। এতে বন্দরের প্রায় ১৮ হাজার টিইইউস কন্টেইনার খালি হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তবে বর্তমানে বন্দরের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার না নিয়ে অপেক্ষমান জাহাজের কন্টেইনার অফডকগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট কন্টেইনার ও জাহাজ জটের কারণে দেশের আমাদানি-রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে দেশের সাপ্লাই চেইন রক্ষার্থে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় বন্দর সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে বৈঠক করে বিভিন্ন সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত নেয়। সর্বশেষ গতকাল সোমবার বন্দর কর্তৃপক্ষ বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র কন্টেইনার খালাসের মাধ্যমে কন্টেইনার চাপ কমানোর জন্য পুনরায় স্টোরেন্ট চার্জ শতভাগ মওকুফের সিদ্ধান্ত নেয়। শুধু ওই দুই সংস্থার কন্টেইনার আগামী ৪ মে এর মধ্যে ডেলিভারি নিলে ওই সুবিধা পাবেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট