চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

করলার প্রচুর চাহিদায় বেড়েছে উৎপাদন
করলার প্রচুর চাহিদায় বেড়েছে উৎপাদন

যাচ্ছে ঢাকা - নারায়ণগঞ্জেও

করলার প্রচুর চাহিদায় বেড়েছে উৎপাদন

আমিষ,ক্যালসিয়াম,লৌহ এবং ভিটামিন সি আছে বলেই চাহিদা বেড়েছে তিতা করলার

অনুপম কুমার অভি,বাঁশখালী

১৭ মার্চ, ২০২০ | ৪:৪৬ অপরাহ্ণ

বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ২২৫০ হেক্টর জমিতে করলা চাষে কৃষকরা সফল হচ্ছে। প্রতিদিন পুকুরিয়া ইউনিয়নের হাজীগাঁও গ্রাম থেকেই ১০/১২ ট্রাক উৎপাদিত করলা পাইকারি ও খুচরা দরে ব্যবসায়ীরা ক্রয় করে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে। পুকুরিয়ায় ২০০ একর জমিতে উৎপাদিত হয় করলা।

কৃষি অফিসসূত্রে জানা যায়, স্বাদে তিক্ত হলেও কৃষিপণ্যের মধ্যে তিতা করলার চাহিদা প্রচুর। আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ এবং খাদ্যপ্রাণ সি আছে বলেই চাহিদা বেড়েছে তিতা করলার। ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসে এ চারা রোপণ করা হয়। পুকুরিয়া ইউনিয়নে দো-আঁশ ও বেলে-দো-আঁশ মাটি হওয়ায় করলার ফলন ভাল হয়। বারি করলা ও গজ করলা সাধারণত এ দুই ধরনের করলার চাষ বেশি করেন কৃষকরা। গাঢ় সবুজ রঙের বারি করলার চারা রোপণের ২ মাসের মধ্যে প্রথম ফলনে ১টি গাছ থেকে ২৫-৩০টি ফল তোলা যায়। সবুজ রঙের গজ করলায় কম সংখ্যক ফল হয়।

পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের হাজীগাঁও গ্রামের কৃষক ফোরক আহমদ, আবদুল গণি, নুরুল কাদের, মফিজ উল্লাহ, আহমদ জমা, হাসান আহমদ বলেন, প্রতি কেজি ৫০/৫৫ টাকা দরে করলা বিক্রি চলছে। সরকারি সহযোগিতা না থাকায় কৃষকরা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ সংগ্রহ করে প্রতি বছর করলা চাষ করে থাকে।

কৃষক ফোরক আহমদ আরো বলেন, হাজীগাঁও টুনিরপোল এলাকায় ১৩ গ-া জমিতে করলা চাষ করে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছেন।

বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, কৃষকদের জন্য মাঠকর্মীরা সবসময় চারা রোপণ ও বীজ উৎপাদনে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। বীজ ও সার প্রয়োগে পরামর্শ দিচ্ছেন। পুকুরিয়ায় করলার চাষ করে কৃষকরা সফল হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট