চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

কচুরিপানা কি সত্যিই আগাছা?

২৩ জানুয়ারি, ২০২০ | ৩:৫১ পূর্বাহ্ণ

কচুরিপানার বাড়বাড়ন্ত দেখে আঁতকে উঠতে হয়। অতি অল্প দিনে এই উদ্ভিদ দ্রুত বংশ বিস্তার করে। আদিভূমি ব্রাজিল থেকে অভিযান শুরু করে আজ গোটা পৃথিবীব্যাপী এর দৌরাত্ম্য ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানায় যেমন বহতা জলের স্রোত বন্ধ হয়ে নৌ চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়, তেমনই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের টার্বাইনে জড়িয়ে তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া বদ্ধ জলে

কচুরিপানার জন্য সাপের উপদ্রব এবং মশা-মাছির বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। এ জন্য এক সময়ে অবিভক্ত বঙ্গে সব রাজনৈতিক দলই কচুরিপানা সাফ করার কর্মসূচি তাদের ইস্তেহারে রেখেছিল। গুরুসদয় দত্ত তাঁর ব্রতচারী গানগুলির মধ্যে
কচুরিপানা বিনাশের ডাক দিয়েছিলেন।

তবে, এ কালের এক দল বিজ্ঞানী কচুরিপানা নিয়ে হাতেকলমে পরীক্ষা চালিয়ে দেখিয়েছেন যে
কচুরিপানা আসলে সম্পদ। আমেরিকার নাসা-র জনাকয়েক বিজ্ঞানী সত্তরের দশক নাগাদ দেখিয়েছিলেন, কলকারখানার দূষিত জল থেকে কচুরিপানার শিকড় এক দিনের মধ্যেই শুষে নিয়েছে নিকেল এবং ক্যাডমিয়ামের শতকরা ৯৭ ভাগ। দূষিত জল থেকে নানা ভারী ধাতু কিংবা ফেনলের মতো বহু জৈবিক অপদ্রব্য নিষ্কাশন করে, হপ্তাদুয়েকের মধ্যে সে জলকে অন্তত
৭৫-৮০ ভাগ দূষণমুক্ত করেছে কচুরিপানা।
(আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট