চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

‘কে জানত এটাই যে হবে শেষ দেখা!’

৮ মে, ২০১৯ | ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

সিলেট থেকে ফেরার পথে ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এই সঙ্গীতশিল্পী। সিলেটে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে গিয়েছিলেন সর্বমঙ্গলা বাড়িতে। সেখানেই তার স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ফিরছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সিলেটের একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন অজিত তালুকদার নামে এক ব্যক্তি।
তিনি লিখেছেন, সুবীর নন্দী দাদার সাথে পহেলা বৈশাখে সর্বমঙ্গলা মায়ের বাড়িতে প্রথম দেখা ও কথা, কে জানত এটাই যে হবে শেষ দেখা? সেদিনও উনাকে শারীরিকভাবে অনেকটা দূর্বল দেখাচ্ছিল, আমাদের সাথে প্রথমে এই অসুস্থতার কারণে ছবি উঠাতে না করেন, কিছুক্ষণ পরে কি ভেবে যেন (হয়তো আমাদের আশাটা পুরণ করতে) উনি ছবি ওঠাতে রাজী হয়ে গেলেন। তখন কে জানত এটাই যে হবে ভক্তদের সাথে তোলা দাদার শেষ ছবি! আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে উনার অসুস্থতা আরো বেড়ে গেল, তারপর আইসিই তে এই কয় দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে, শেষ অবধি মৃত্যুর কাছে হার মেনে, দেশের লাখো কোটি ভক্ত কে চোখের জলে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন এই কালজয়ী শিল্পী।
অজিত লিখেছেন, বাংলার গানের আকাশে দূর্যোগের ঘনঘটা আবার একটি নক্ষত্রের পতন, বাংলার সঙ্গীতজগতে সে এক অপুরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। উনি জানতেন উনাকে হারালে আমরা শোকের সাগরে ভাসব, তাই তো উনি গেয়েছিলেন ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায়’, আপনার জন্য কাদঁবে না এমন কোন সঙ্গীত প্রিয় মানুষ থাকতে পারে না। (দিব্যান লোকান স্ব গচ্ছতু), পরপারে ভাল থাকবেন প্রিয়শিল্পী।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট