চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ঈদে চট্টগ্রামে কোথায় বেড়াতে যাবেন

পূর্বকোণ ডেস্ক

২ জুন, ২০১৯ | ৮:৫০ অপরাহ্ণ

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার ভাণ্ডার চট্টগ্রাম। আর প্রকৃতির সেই লাবণ্যময় রূপকে খুব কাছ থেকে অনুভবের জন্যই পাহাড়-সমুদ্রে ঘেরা নিসর্গের মাঝে গড়ে উঠেছে চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলো।

ঈদকে সামনে রেখে বিপুল আয়োজনে নতুন রূপে সাজছে চট্টগ্রামের প্রায় প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্র। পেয়েছে নতুন অবয়ব, করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন, দেয়া হয়েছে নান্দনিকতা। সাথে জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তা।

প্রতিবারের মতো এবারো ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীর ঢল নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেকের এমিউজমেন্ট পার্ক ও সি ওয়ার্ল্ড, চট্টগ্রাম শিশু পার্ক, আগ্রাবাদ পার্ক, বিপ্লব উদ্যান, ফিরিঙ্গি বাজার নেভাল-২, কর্ণফুলী সেতু, বাটারফ্লাই পার্ক ও আনোয়ারা পারকি সৈকত অন্যতম।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত

প্রতিবছরই চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম ঘটে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। ঈদের দিনই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় পুরো সমুদ্রসৈকত। তাছাড়া এ বছর নতুন অবয়ব পেয়েছে সৈকতটি। সৌন্দর্য বর্ধন করে নানাভাবে নান্দনিকতা দেয়া হয়েছে। ফলে অপরূপ রূপ পেয়েছে চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহত্তম এ পর্যটন কেন্দ্র।

 

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা

নয়নাভিরাম করা হয়েছে চট্টগ্রামের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে। সমৃদ্ধ করা হয়েছে নানারকম পশু-পাখি দিয়ে। নতুন সংযোজন হয়েছে মিনি এভিয়ারি (ছোট্ট পক্ষীশালা)। হল্যান্ড-৬ প্রজাতির ৩০০ পাখি নিয়ে নতুনভাবে যাত্রা করেছে এটি। ৩৪ লাখ টাকা (অবকাঠামো ব্যয় ২০ লাখ, পাখি ক্রয়ে ব্যয় ১৪ লাখ টাকা) ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ন্যাচারাল মিনি এভিয়ারি। বর্তমানে এ চিড়িয়াখানায় ৬৭ প্রজাতির সাড়ে তিন শতাধিক পশু-পাখি রয়েছে। চিড়িয়াখানার টিকিট বিক্রির টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে সীমানা প্রাচীর ও পশুদের জন্য দেয়া হয়েছে খাঁচা। চিড়িয়াখানার দেয়ালগুলোকে দেয়া হয়েছে নানা রূপ, বৈচিত্র্য।

 

বাটারফ্লাই পার্ক

চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশেই আছে বাটারফ্লাই পার্ক। ঈদের দিন থেকে ওই পার্কেও শুরু হয় তিন দিনব্যাপী উৎসব। ঈদ উপলক্ষে পার্কে নতুন ১০/১২ প্রজাতির প্রজাপতি ছাড়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে আছে প্রায় ৫০/৬০ প্রজাতির প্রজাপতি। প্রতি বছরই দুষ্প্রাপ্য প্রজাপতি দেখতে এখানে দর্শনার্থীর ভিড় জমে।

 

মিনি বাংলাদেশ

মিনি বাংলাদেশ অবস্থিত চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে। এটিকে স্বাধীনতা কমপ্লেক্সও বলা হয়। এ পার্কে আছে জাতীয় সংসদ ভবন, দরবার হল, কার্জন হল, সোনা মসজিদ, আহসান মঞ্জিল, হাইকোর্ট, লালবাগ কেল্লা, কান্তজিউর মন্দির, বড়কুঠি, ছোট কুঠি, পাহাড়পুর বিহার, সেন্ট নিকোলাস চার্চ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, ট্রেনের নিচে ব্রিজ, ছয়টি কিউচ (বসার স্টল)।

এছাড়া কাজীর দেউড়ির চট্টগ্রাম শিশুপার্ক, আগ্রাবাদ শিশুপার্ক, নগরীর ডিসি হিল, ভাটিয়ারি লেক, কাট্টলী সমুদ্র সৈকতেও প্রতিবছর দর্শনার্থীর ঢল নামে।

এদিকে নগরীর বাইরে বাঁশখালী ও সীতাকুণ্ডের ইকো পার্ক, রাউজানের রাবার বাগান, মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্ট, ফটিকছড়ির চা বাগান, মিরসরাইয়ের সুন্দরী ঝর্ণা, সীতাকুণ্ডের সহস্রধারা-সুপ্তধারা ঝর্ণা, আনোয়ারার পারকি সৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটনস্থান রয়েছে। সেখানে বিনোদনপ্রেমীদের ঈদ আনন্দ হয়ে উঠবে দ্বিগুণ।

 

পূর্বকোণ/ময়মী

 

শেয়ার করুন