চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চীনা নাগরিকের সঙ্গে শাবনূরের বিয়ে হয়েছিল, দাবি স্বামীর

পূর্বকোণ ডেস্ক

৭ মার্চ, ২০২০ | ২:৪৩ পূর্বাহ্ণ

অনীক মাহমুদ মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। স্বামীকে নিয়ে তালাক নোটিশে এমনটাই অভিযোগ করেছেন শাবনূর। সব

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অনীক। পাল্টা শাবনূরর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অনীক। শুক্রবার বিকেলে একটি জাতীয় দৈনিককে ফোন দিয়ে অনীক বলেন, শাবনূরকে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার বিরুদ্ধে তাঁকে অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে। প্রমাণ দিতে না পারলে, তাঁকে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে। শাবনূরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনীক মাহমুদের কাছে বিচ্ছেদ চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছেন শাবনূর। নোটিশে শাবনূর তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছেন, ‘একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর স্বামী যে ব্যবহার করেন অনীক সেটা করছেন না, উল্টো নানাভাবে আমাকে নির্যাতন করে। এসব কারণে আমার জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে। চেষ্টা করেও এসব থেকে তাকে ফেরাতে পারিনি। বরং আমার সন্তান এবং আমার ওপর নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য মনে হয় তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারব না। তাই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।’

বিচ্ছেদের নোটিশ এখনো হাতে পাননি বলে জানালেন অনীক। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এবং টেলিভিশনে বিচ্ছেদের যেসব কারণ দেখানো হয়েছে তা নিয়ে বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনীক। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো দেওয়া হচ্ছে জবাব দিইনি শুধুমাত্র আমার সন্তান আইজানের দিকে তাকিয়ে। শাবনূরও আমার সন্তানের মা, এটাও একটা ব্যাপার কাজ করেছে। আমাকে বলা হচ্ছে পর নারীতে আসক্ত, মাদকাসক্ত। সন্তানের ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেয়নি আমি শাবনূরকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, এসবের কোনো প্রমাণ যদি সে দিতে পারে আমি যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।’

সন্তানের জন্মের পর থেকেই শাবনূর ও অনীক আলাদা থাকছেন। শাবনূর এটিকে বনিবনা না হওয়া বললেও অনীক বললেন ভিন্ন কথা। অনীকের দাবি ‘বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন, একজন চীনা নাগরিকের সঙ্গে শাবনূরের বিয়ে হয়েছিল। স্বামী হিসেবে এটা শোনার পর তিনি বিস্মিত হন। আড়াই বছর আগে একবার হঠাৎ করে কোনো কথা নেই বার্তা নেই, শরীফ নামের একজন লোকের সঙ্গে মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার বিষয়টিও বলেন। অনীক বলেন, ‘এত কিছুর পরও আমি চুপচাপ ছিলাম। বিভিন্ন মিডিয়া থেকেও জানতে চেয়েছিল, আমাদের সম্পর্ক ঠিক আছে কী না? আমি কিন্তু বলেছি, উই আর ফাইন। আমার তো সমাজ আছে, সবার সঙ্গে চলতে হয়, আত্মীয়স্বজন আছে, পরিবার আছে, পরিবারকেও সবার সঙ্গে চলতে হয়। সন্তানের দিকে তাকিয়ে তাই কাউকে কিছু বুঝতে দিইনি। এখন আমার বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে, এসব শুনে আমার বাবা অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি।’
অনীকের দাবি, তিনিই শাবনূরকে মদ্যপ অবস্থায় পেয়েছেন। বললেন, ‘একজন মানুষ ও স্বামী হিসেবে এসব তো মেনে নেওয়া যায় না। তাই দূরে থেকেছি। শাবনূরকে বাংলাদেশে স্বনামধন্য, জনপ্রিয় এবং অত্যন্ত ভালো মানের অভিনয়শিল্পী হিসেবে শ্রদ্ধা করি। সেভাবেই তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। আমার সন্তানের মা হিসেবে, আমার সাবেক স্ত্রী হিসেবেও তিনি সম্মানের দাবিদার। কিন্তু তাই বলে আমার সম্পর্ক যা খুশি তাই মিডিয়াকে বলবেÍএটা তো মানা যায় না!’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট