চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সৌদি থেকে দেশে ফিরলেন আরো দু’শ বাংলাদেশি

কামাল পারভেজ অভি, সৌদি প্রতিনিধি

২৬ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:০৪ অপরাহ্ণ

সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরপাকড়ের শিকার হয়ে  দেশে ফিরেছেন আরো দু’শ বাংলাদেশি। জানা যায়, সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে মাত্র পাঁচ মাস আগে বহু স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন কুড়িগ্রামের আকমত আলী। কিন্তু তার সে স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্ন। তার অভিযোগ, আকামার মেয়াদ (বৈধ অনুমোদন) আরো ১০ মাস থাকলেও তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আকমত আলীসহ রাত সাড়ে ১১টায় সৌদি আরব থেকে ২’শ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরতে হয়েছে। বরাবরের মতো ২৪ অক্টোবরও  দেশে ফেরা কর্মীদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর সহায়তা দেয় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।

 

চলতি বছর ১৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশি সৌদি আরব থেকে ফেরত এসেছে। এর মধ্যে চলতি মাসেই ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় ৮০৪ জনকে ব্র্যাক সহযোগিতা করেছে। এবার সৌদি ফেরা প্রবাসীদের মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মী এলেন গতকাল। শুক্রবার ফেরত আসা গোপালগঞ্জের ছেলে সম্রাট শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আট মাসের আকামা ছিল তার। নামাজ পড়ে বের হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে, কোনো কিছু না দেখেই দেশে পাঠিয়ে দেয়। ফেরত আসা সাইফুল ইসলামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তার অভিযোগ, আকামার মেয়াদ দেখানোর পরেও তাকে দেশে পাঠানো হয়েছে। সাইফুল বলেন, সবেমাত্র ৯ মাস আগে সৌদি গিয়েছিলেন, আকামার মেয়াদও ছিল ছয় মাস। চট্টগ্রাম জেলার আব্দুল্লাহ বলেন, আকামা তৈরির জন্য আট হাজার রিয়াল জমা দিয়েছেন কফিলকে। কিন্তু পুলিশ গ্রেপ্তারের পর কফিল কোনো দায়িত্ব নেয়নি। ফেরত আসা কর্মীরা সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। আর কাউকে যেন তাদের মতো পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য করা না হয়, সে দাবিও করেন তারা।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ফেরত আসা কর্মীরা যেসব বর্ণনা দিচ্ছেন সেগুলো মর্মান্তিক। সাধারণ ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগকর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লে অনেক লোক ফেরত আসতো। কিন্তু এবার অনেকেই বলছেন, তাদের আকামা থাকার পরেও ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই অনেককে ফিরতে হচ্ছে, যারা খরচের টাকার কিছুই তুলতে পারেননি। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে এই দায় নিতে হবে। পাশাপাশি নতুন করে কেউ যেন গিয়ে এমন বিপদে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট