চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

টেলিফোনে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলো নাজমা

ভাগ্য ফেরাতে গিয়ে ফিরলেন লাশ হয়ে

কামাল পারভেজ অভি, সৌদি প্রতিনিধি

২৫ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:২১ অপরাহ্ণ

সৌদি আরবে নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশি নারী শ্রমিক নাজমা বেগমের (৪০) মরদেহ অবশেষে মৃত্যুর ৫৩ দিন পর দেশে এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তার লাশ গ্রহণ করেন স্বজনরা। পরে রাতেই মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান নিহত নাজমা বেগমের মরদেহ। ২ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের আবহা প্রদেশে স্হানীয় একটি বাসা বাড়িতে কর্মরত অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান নাজমা বেগম। অমানুষিক নির্যাতনে নাজমার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে স্বজনরা জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে নাজমা টেলিফোনে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে স্বজনদের কাছে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন।

মৃত্যুর আগে প্রবাসী শ্রমিক নাজমা বলেছিলেন, ‘আমি জায়গায় মরে যামু। আমি আর কুলাতে পারছি না। আমি মরে গেলে তো আমার পোলা-মাইয়ার চেহারাও দেখতে পামু না। আল্লাহ আমি এখন কি করমু?’ জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নাজমার ছিল আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার আকুতি। ছিল দেশে ফেরার শতচেষ্টা। কিন্তু এলাকার দালাল সিদ্দিকের হাত-পায়ে ধরেও হতভাগ্য নাজমাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারেননি দরিদ্র পরিবারটি। এমনকি সৌদি আরবের আবহায় স্হানীয় হাসপাতালের মর্গে নিহত নাজমার মরদেহ পরে থাকলেও দেশে আনতে পারেনি তার পরিবার।

জানা যায়, গত ১১ মাস আগে স্থানীয় দালাল সিদ্দিকের মাধ্যমে সৌদি আরবে পাড়ি জমান নিহত এই নাজমা বেগম। হাসপাতালে ক্লিনারের চাকরি দেয়ার কথা বলে তাকে পাঠানো হলেও কাজ দেয়া হয় বাসাবাড়িতে। সেখানে তাকে যৌন নির্যাতনসহ নানাভাবে নির্যাতন করলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট