অপ্রীতিকর ও অসামজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চাঁদপুর জেলার মিজান আল রহমান নামে এক কুয়েত প্রবাসীকে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। বুধবার (১৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় একটি ফ্লাইটে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
দেশটির স্থানীয় প্রশাসনের অভিযানে গত ১০ অক্টোবর কুয়েতের ফরওয়ানিয়া এলাকায় হতে ফিলিপাইনো এক তরুণীর সঙ্গে অপ্রীতিকর অবস্থায় মিজানকে আটক করা হয়। কুয়েতের একটি জিম সেন্টারে কাজ করতো বলে সে ‘বডি মিজান’ হিসেবে পরিচিত।
কুয়েত কমিউনিটির এক নেতা বলেন, সে কুয়েতের বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতো। ফলে কুয়েত কমিউনিটিতে তাকে সবাই ‘বডি মিজান’ নামে চিনে। সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্য সংগঠনের নিকট পাচার করতোও বলে অভিযোগ রয়েছে আটক মিজানের বিরুদ্ধে। তার এমন কর্মকাণ্ডে কুয়েত কমিউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে সর্ম্পক নষ্ট হতো।
দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, র্দীঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অপপ্রচার, অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
কুয়েতের বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, বিদেশের মাটিতে সবুজ পাসপোর্টধারী প্রত্যেক প্রবাসী দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি। আমরা যে দেশে থাকি না কেন আমাদের উচিত সেদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে চলা। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক প্রবাসীর উচিত। আমাদের প্রতিটি কর্মকান্ডের উপর আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নির্ভর করে।
তারা আরো বলেন, বিদেশের মাটিতে কেউ একজন প্রবাসী ভাল কাজ করলে যেমন দেশের সুনাম বৃদ্ধি হয় আবার তেমন কোন প্রবাসী খারাপ কাজ করলে দেশের বদনাম হয়। সুনাম ছড়াতে সময় লাগলেও কিন্ত বদনাম তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। আমরা যেমন আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের সকলের উচিত লাখো শহিদের রক্তে অর্জিত লাল-সবুজের পতাকার মান রক্ষা করা।
পূর্বকোণ/রিপন-সাদেক