মা, মেয়ে, বোন ও স্ত্রীসহ প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে সুখের আসায় হাজার হাজার মাইল দূরে সকাল সন্ধ্যা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে। ক্লান্ত শরীরের বিশ্রামের ফাঁকে অবসরে যখন টিভি, পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে নারী শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও খুন সংবাদ চোখে পড়ে তখনিই বুকটা কেঁপে উঠে আমার পরিবার, প্রিয়জন ও আত্মীয় স্বজনরা কেমন আছে। 

অনেক প্রবাসীর পরিবারে পুরুষরা দেশের বাহিরে থাকা দেশে মা,বোন, মেয়ে, স্ত্রী সন্তান থাকে দেশের এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠার মধ্যে থাকে। দূর পরবাসে থাকা কুয়েত প্রবাসীরা সারাদেশ নারী, শিশু ধর্ষণ নির্যাতন ও নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত দোষীদের ও ধর্ষকের দ্রুত বিচার আইনে কঠোর সাজা দাবী জানিয়েছেন।

কুয়েত প্রবাসী হারুন মোল্লা বলেন, আমি একজন প্রবাসী,আমি অন্তরের দু:খ বেদনার কথা যদি বলি আজ প্রবাসীরা কি দেখছে? নারীর প্রতি সহিংসতামূলক আচরণ। আরও অসংখ্য ধর্ষণ। যতক্ষণ পর্যন্ত না সমস্যার মূলে প্রবেশ করা না হবে এই ধরনের অপরাধের প্রশ্রয়দাতাদের বিচারের আওতায় আনা হবে তখন কমে আসবে নারী শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও খুন। এভাবে চলতে থাকলে অপরাধ বাড়তে বাড়তে যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাবে এরা যখন হায়েনার চেয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠবে। তখন আর কিছুই করার থাকবেনা। রাজনৈতিক পরিচয়ে নয় একজন ধর্ষক হিসেবে ফাঁসি দিলে সমস্যার সমাধান হবে। পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।

প্রবাসী ফারুক মিয়া বলেন, সারা পৃথিবী জুড়ে প্রবাসী বাংলাদেশী যে যেখানেই থাকুক না কেন, প্রতিটা মুহুর্ত  সকল প্রবাসীর অন্তরে, বাংলাদেশের সুখ-শান্তি ,সমৃদ্ধি, জান-মালের নিরাপত্তা, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আফসোস ! বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নুনের চেয়ে খুন সস্তা হয়ে গিয়েছে । আইনের শাষন না থাকার ফলে একের পর এক ধর্ষণের মহা উৎসব চলছে । নারীদের ইজ্জত আবরু আজ ভুলুন্টিত। বাঙালি জাতি হিসেবে নিজে খুব লজ্জিত মনে হচ্ছে ।

মোহাম্মদ সরুজ বলেন, সারা দেশে প্রতিটা দিন যে ভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে আমরা প্রবাসীরা আতংকিত!! আমাদের ঘরে মা বোন স্ত্রী সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা সঙ্কিত!! তাই আমরা প্রতিটা ধর্ষণ এবং অপরাধের সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

পূর্বকোণ/পিআর