চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য ঋণে শর্ত সহজ করার দাবি

কুয়েত সংবাদদাতা

২৮ জুলাই, ২০২০ | ৩:৩৩ অপরাহ্ণ

মহামারী করোনার প্রভাবে থমকে গেছে পুরো বিশ্ব ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে অনেক দেশ। দেশের বাহিরে প্রায় এক কোটিরও বেশি প্রবাসীদের আয়ের বড় একটি অংশ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। করোনার কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশের প্রবাসী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে কর্ম হারিয়ে শূণ্য হাতে দেশে ফিরে গেছেন।

বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা বিবেচনা করে ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসী যারা বৈধভাবে বিদেশে ছিলেন কর্ম হারিয়ে দেশে ফেরত গিয়েছে তাদের জন্য ৭’শ কোটির টাকা স্বল্প সুদে প্রদানের ঘোষণা দেয়। সরকারে গৃহীত এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় প্রবাসীরা। মার্চের পর থেকে যেসকল প্রবাসীরা অসুস্থ হয়ে চাকুরি হারিয়ে দেশে ফিরে গেছে তারা এই ঋণ সুবিধার আওতায় আসবে। দেশে ফেরত অনেক প্রবাসী ঋণের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যোগযোগ করার পর ঋণ পেতে স্বল্প সুদ হলে কঠিন শর্তের কথা শুনে হতাশ হয়ে ফিরে এসেছে।

চলতি বছরে মার্চ থেকে অনেক প্রবাসী দেশে ফিরে গেছে এবং আগস্ট থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে কুয়েত ছোটখাটো ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে এক বুক আশা নিয়ে সরকারের ঘোষিত ঋণে নিয়ে কিছু একটা করে ঘুরে দাঁড়ানো চিন্তা ভাবনা করলেও ঋণ পেতে যে কঠিন শর্ত দেওয়া হয়েছে যেটা অনেক প্রবাসীদের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হবে না। স্বল্প সুদ হলেও কঠিন শর্তের কারণে ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া আশংকা করছেন প্রবাসীরা এবং ঋণ গ্রহণে শর্ত সহজ করার দাবী জানান প্রবাসীরা।

করোনা মহামারী সময়ে বিশেষ ফ্লাইটে ছাড়াও কুয়েত থেকে সাধারণ ক্ষমায় প্রায় পাঁচ হাজার প্রবাসী দেশে ফিরে গেছে তাদের মধ্যে একজন নরসিংদীর জেলার বেলাব উপজলোর কাজী মোহাম্মদ শাওন বলেন, জুন মাসের ৯ তারিখে দেশে ফিরে আসার পর সরকারের ঘোষিত ঋণের জন্য আমার পাসপোর্ট , জায়গার দলিল, খতিয়ানসহ আমার কাছে যাহা ছিল সেই সব কাগজ পত্র নিয়ে যোগাযোগ করার পর তারা আর কিছু শর্তের কথা বলে যেমন বৈধ পথে বিদেশ গমনের প্রমাণপত্র, চাকুরির চুক্তিপত্র যেগুলো যাওয়ার পর মালিক কোম্পানির অফিসে জমা রেখে দিয়েছে। গ্যারেনটারের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি, গ্যারেন্টারের স্বাক্ষরিত ৩টি চেকের পাতা, একাউন্টের ৬ মাসের ব্যাংক স্ট্যাটম্যান্ট। আমার পরিচিত কয়েকজন ব্যবসায়ীকে বললেও কেউ দিতে অপারগতা করে। কেউ আবার কাগজপত্র একটা থাকলেও আরেকটা নাই বলে ফিরিয়ে দিয়েছে। সরকার প্রবাসীদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দিয়েছে ভালো একজন প্রবাসী র্দীঘদিন প্রবাসের থাকার পর ফিরে এসে তার পক্ষে কি এতসব কাজপত্র জোগাড় করা সম্ভব? তাই সকল প্রবাসীদের পক্ষ হতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার একটাই দাবী শর্তগুলো সংশোধন করে সহজ করা হয়। যাতে প্রবাসীরা ঋণ নিয়ে কিছু একটা করে পরিবার নিয়ে কোন রকমে ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট