চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সৌদিতে আটকেপড়া ১৪৫ জন ফিরলেন, মিসর গেলেন ১৪০ জন

সৌদিতে আটকেপড়া বাংলাদেশীদের জন্য বিমানের বিশেষ ফ্লাইট

সৌদি আরব সংবাদদাতা

৯ জুন, ২০২০ | ৮:১১ অপরাহ্ণ

মহামারি করোনার কারণে সৌদি আরবে লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল। এ কারণে যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি এক্সিট-রিএন্ট্রি অথবা এক্সিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে গেছেন ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে যারা বের হতে পারেননি, তাদের জন্য চালু হচ্ছে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট। আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) জেদ্দা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রিজিওনাল ম্যানেজার নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সৌদি আরবে কর্মরত প্রবাসীদের ভ্রমণ ভিসায় নিয়ে আসা পরিবার ও ওমরাহ ভিসায় এসে যারা ফেরত যেতে পারেননি। একইসাথে দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত যেসব ছাত্র-ছাত্রী নিজ খরচে দেশে ফেরত যেতে চান, ওইসব ভিসাধারীদের বাংলাদেশে ফেরত নেয়ার লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সৌদিআরবের বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সহযোগিতায় বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

তিনি বলেন, প্রথমে দুটি বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে এসব যাত্রীরা দেশে ফেরত যেতে পারবেন। প্রথমটি আগামী ১৬ বা ১৭ জুন জেদ্দা কিং আব্দুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। আরেকটি দেশটির রাজধানী রিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ছেড়ে যাবে। তবে এখনও তারিখ নির্দিষ্ট হয়নি বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, বিমানের ভাড়া একটু বেশি হবে। ওয়ান ওয়ে’র প্রতিটা ইকোনমিক ক্লাস আসনের মূল্য হবে ৩ হাজার ৩০ সৌদি রিয়াল (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৬ হাজার ৬৬৬ টাকা)। পরবর্তী সময়ে চাহিদা অনুযায়ী আরও ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে।

রিজিওনাল ম্যানেজার নাজমুল হুদা জানান, দেশে ফেরত যাওয়ার সুবিধা গ্রহণকারী প্রত্যেককে স্থানীয় কনস্যুলেট অথবা দূতাবাসে যোগাযোগ করে নাম তালিকাভুক্ত করতে হবে। সেই তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে একটি নাম্বার আসবে। বিমানের জেদ্দা অফিস আল নাকিল সেন্টার থেকে ওই নাম্বার অনুযায়ী সিট বরাদ্দ দেয়া হবে।

রিয়াদ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. আবুল হাসান জানান, যে সমস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নির্ধারিত হোয়াটসএপ নাম্বারে (০৫৫৬২২১৮৫৮) যোগাযোগ করে পাসপোর্ট ফটোকপি এবং ভিসা ফটোকপি জমা দিতে হবে। পরে দূতাবাস এবং কনস্যুলেট তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের অফিসে তা পাঠানোর পর সেখান থেকে টিকেট সংগ্রহ করে আগ্রহীরা বাংলাদেশে ফেরত যেতে পারবেন। তবে কোন ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এসব টিকেট বিক্রি করা হবে না বলেও জানান তিনি।

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/অভি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট