চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনা আতঙ্ক: চরম হুমকির মুখে মক্কা-মদিনার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা

কামাল পারভেজ অভি, সৌদি সংবাদদাতা

১০ মার্চ, ২০২০ | ৩:৩০ অপরাহ্ণ

বিশ্বব্যাপী মরণঘাতী করোনাভাইরাস সৌদি আরবে আঘাত হানার পর মক্কায় ওমরাহ পালন ও মদিনায় মসজিদে নববিতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে মক্কা ও মদিনায় আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও বিভিন্ন দোকানের বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা চরম হুমকির মুখে পড়েছে। আগের বছরের তুলনায় বর্তমানে ৪০ শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যাবসায়ীরা। এক্ষেত্রে আবাসিক হোটেল, ট্রাভেল এজেন্সি, বিভিন্ন ধরনের দোকান, খাবার হোটেল, ক্যাটারিং ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞার বেশি প্রভাব পড়ছে। হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সৌদি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মক্কা শিল্প ও বাণিজ্য চেম্বারের প্রধান আবদুল্লাহ ফিলালি বলেন, মক্কার হোটেল খাতে একটি কঠিন মৌসুম পার করতে যাচ্ছে। শহরটিতে প্রায় এক হাজার ৩শটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। ওমরাহ পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে এসব হোটেলকে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ফিলালি আরো বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীতে দুই শহরের হোটেল খাতে মারাত্মক অর্থনৈতিক পরিণতি বহন করতে যাচ্ছে। কাজেই এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখা হলে হোটেল খাতকে ৪০ শতাংশ খেসারত দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মক্কা ও মদিনার আবাসন খাত পেশাগত সংকটে পড়তে যাচ্ছে। আর ওমরাহ নিষেধাজ্ঞা তাতে আরো চাপ বাড়াতে যাচ্ছে। কাজেই এই খাতে কি ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে কেউ ভবিষ্যৎ বাণী করতে পারছেন না। তিনি বলেন, এই খাত বড় ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে। সামনে আসছে পবিত্র মাস রমজানুল মোবারক। ওই সময়টায় সব ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব। মক্কার হারামের পাশেই সাফা টাওয়ারে অবস্থিত বাংলাদেশ রেস্টুরেন্টের পরিচালক কামাল খান জানান, আমাদের ব্যাবসা সম্পূর্ণ হজ যাত্রীদের উপর নির্ভর। এইভাবে নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকলে আমাদের অনেক টাকার লোকসান গুনতে হবে। আরেক হোটেল ব্যাবসায়ী মোহাম্মদ বেলাল হোসেন জানান, অনেক রিয়াল খরচ করে আবাসিক হোটেল ব্যবসায় এসেছি, আট দশজন কর্মচারী তাদের বেতন, হোটেলের বাৎসরিক ভাড়া সব মিলিয়ে অনেক রিয়াল লোকসানে পড়তে হবে। তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন এ মরণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে সকলকে রক্ষা করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট