চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশি শ্রমিক নিতে আসছে মালয়েশীয় প্রতিনিধিদল

নিজস্ব প্রতিবেদক

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৯:৩২ অপরাহ্ণ

ব্যয় নিয়োগের চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে মালয়েশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার টিম বাংলাদেশের শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন বলে জানা গেছে। সূত্র : সময়ের আলো।

সম্প্রতি স্থানীয় একটি অনলাইনে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান বলেন, শিগগিরই শূন্য ব্যয় নিয়োগের চুক্তিতে থাকা বাকি ইস্যুগুলোর জন্য মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপকে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছি। প্রায় সব বিষয় নিষ্পত্তি হয়ে গেছে এবং আমরা এটি চূড়ান্ত করার খুব কাছাকাছি এসেছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার বলেছে যে, তারা নেপালের সঙ্গে যেভাবে চুক্তিতে পৌঁছেছে ঠিক তার মতো যথাযথ সম্মতি ছাড়া শ্রমিক প্রেরণ করবে না এবং প্রয়োজনীয় বিধানের যথাযথ সম্মতি থাকতে হবে। চুক্তির অধীনে নিয়োগকর্তারা নিয়োগের জন্য চার্জ, যাওয়া-আসার বিমান ভাড়া, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সুরক্ষা স্ক্রিনিং এবং ভ্যাট প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে।

ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার কয়েকটি পর্যায়ে বৈঠক হলেও এখনও শ্রমিক নিয়োগে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ। বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হিসেবে গণ্য করা হয় মালয়েশিয়াকে। এ সম্ভাবনাময় বাজারটি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই চলছে জটিলতা। সরকারি-বেসরকারি যৌথ ব্যবস্থাপনায় (জিটুজি প্লাস) ২০১৭ ও ২০১৮ সালে প্রায় পৌনে তিন লাখ কর্মী মালয়েশিয়া যান। সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা হলেও কর্মীপ্রতি সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত নেয় এজেন্সিগুলো।

একটি সংঘবদ্ধ চক্রের অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনার কারণে বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ করে দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। এরপর তৎকালীন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ২৫ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ায় বৈঠক করেও শ্রমবাজারটি চালু করতে পারেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিউনিটির অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। দেশটিতে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর প্রয়োজন। সিন্ডিকেট মুক্ত ও কম খরচে কর্মী প্রেরণে বাংলাদেশের বিশাল লোভনীয় এই বাজারের ব্যাপকতা বাড়াবে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। মালয়েশিয়া থেকে বারবার বলা হচ্ছে, সিন্ডিকেট মুক্ত এবং অল্প খরচে শ্রমিক নিতে চাই। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও সিন্ডিকেট মুক্ত হতে পারেনি বলে বিশ্বাস করে মালয়েশিয়া। তাই কালক্ষেপণ করেই সময় পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন