চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম বন্দরে ৮ মাস আটক কুয়েতে প্রবাসীদের পাঠানো কার্গোমাল

সাদেক রিপন হ কুয়েত

২৬ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে আট মাস যাবত আটক পড়ে আছে সী কার্গোতে পাঠানো কুয়েত প্রবাসীদের মাল। গত ২০১৯ সালে এপ্রিল মাসে কুয়েত হতে যে সকল প্রবাসীরা দেশে পরিবার পরিজনের জন্য গৃহস্থলী আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় মালামাল, ভোগ্যপণ্য সী কার্গোতে মাল বুক দিয়েছে যা দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ৮ মাস হয়ে গেছে এখনো বুঝে পায়নি তাদের মাল। কাজী মোহাম্মদ শাওন ও মোশারফ বলেন, আমি গত বছর এপ্রিল মাসের মাল দিয়েছি সী কার্গোতে ৫০ দিনের মধ্যে যাওয়া কথা ছিলো। দেশে গিয়ে ছুটি শেষে আবার চলে আসছি আজও পাইনি মাল। এসব মাল এতো দিনে নষ্ট হয়ে গেছে বাকিগুলো নষ্ট হওয়ার পথে। কুয়েতে অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা বলে দেশের বন্দর মাল ছাড়ছে না এই মাসে ওই মাসে বলতে বলতে ৮ মাস শেষ হয়ে গেলো। কি কারণে মাল আটকে গেল বা আদো মাল পাবো কি না বিশ্বাস হচ্ছে না। যেখানে শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্তান শতভাগ নিশ্চয়তা কম খরচে বাসায় পৌঁছে দেয়। সর্বশেষ আশ্বস্ত করে বলে মাল ছাড়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জানুয়ারি মাসে না হলে ক্ষতিপূরণরে টাকা ফেরত দিবে।

শহিদুল ইসলাম নামে আরেক প্রবাসী বলেন, আমার এক বন্ধু মারা যাওয়ার পর তার ব্যবহারিত জিনিস ও রুমের মালপত্র তার পরিবারে কাছে পাঠিয়েছি ৬ মাস হয়ে গেল এখনো পাইনি। অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা বলে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে আছে।

কুয়েত সিটির মুরগাব কার্গো ব্যবসায়ী নুরুল আমিন, ও ফাহাদ হোসেন বলেন, এখন বাংলাদেশে হঠাৎ করে কেন মাল আটকে রাখলো। এখানে কাস্টমাররা প্রতিদিন এসে বিরক্ত করছে। কাউকে বুঝাতে সক্ষম হলেও অনেকের সাথে তর্ক বির্তক ঘটনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতি দ্রুত এ বিষয়ে আটককৃত মালামাল ছাড়ার ব্যাপরে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। সেখানে আমাদের দিনে দিনে মানুষের বিশ্বাস ও আস্থায় হারাচ্ছে কার্গোর ব্যবসার প্রতি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানায়, আটককৃত কন্ট্রেনারগুলোর মধ্যে প্রেরিত পণ্যের সাথে ডকুমেন্টের গরমিল রয়েছে তাই যাছাই-বাছাইয়ের পর গরমিল থাকলে সেগুলো আগের মতো ছাড়া হচ্ছে না আর তাই সী কার্গো কন্ট্রেনারগুলো বন্দরে দীর্ঘদিন আটকা পড়ে আছে। আগে বন্দরে কিছু অসাধু কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে অবৈধভাবে কন্ট্রেনার খালাসের কার্যক্রম চালিয়ে গিয়ে ছিল। সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর ও সরকারি নজরদারি জোরদার বাড়ানোর কারণে আগের মতো নিয়মের বাহিরে অবৈধভাবে মালামাল খালাস দেওয়া যাচ্ছে না। তাই বন্দরে কন্ট্রেনার আটকা পড়ে কন্ট্রেনার যট সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাল প্রেরণকারীরা ও এজেন্ট হিসেবে মালগুলো সংগ্রহকারী কার্গো অফিস ও ব্যবসায়ীরা।

শেয়ার করুন