চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আনন্দমুখর পরিবেশে কাটল সিআইইউ ক্যাম্পাসে নবীনদের প্রথম দিন

বিজ্ঞপ্তি

১২ জানুয়ারি, ২০২০ | ৮:২২ অপরাহ্ণ

ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৯টা। এক-দু্ইজন করে ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন তখন সবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে বেড়ে যায় জটলা। কারও পিঠে ব্যাগ, কারও হাতে ডায়েরি। মুখর হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।

চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) ২০২০ এর স্প্রিং সেমিস্টারের ক্লাস শুরুর প্রথম দিন আজ রবিবারের চিত্রটা ছিল ঠিক এমনই। তারুণ্যের পদচারণায় জমজমাট হয়ে ওঠে সবকটি স্কুল (অনুষদ) ও বিভাগ।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনটা ভীষণ আনন্দে কেটেছে শিক্ষার্থীদের। দিনভর তারা আড্ডা দিয়েছেন দলবেধে। একে-অপরের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। ক্লাসে অংশ নিয়েছেন ফাঁকে ফাঁকে।

ক্যাম্পাসের করিডোর, লাইব্রেরি, অ্যামেরিকান কর্ণার, টিএসসি-সবখানেই ছিলো তাদের তারুণ্যমুখর পদচারণা। ভেসে আসে ‘আমি মাহমুদ। মাহমুদ তালুকদার। চিটাগং কলেজ থেকে এসেছি। ইচ্ছে আছে ভালো কিছু করার’ কিংবা ‘বাবা-মা’র আশা ছিলো ইংরেজি পড়বো। কিন্তু আমি বিবিএ ছাড়া চলতে পারি না’-এমন সব কথাবার্তা।

সকালে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেই শিক্ষার্থীরা দলবেধে নিজেদের বিভাগগুলো খুঁজে নেন। লাজুকতা ভেঙে একধাপ সামনে এগিয়ে অনেকে সাহস নিয়ে সরাসরি চলে যান সিনিয়র শিক্ষকদের কক্ষে! কথা বলেন প্রাণখুলে।

প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্লাস রুটিন নিয়ে আলোচনা করেন কেউ কেউ। কফির চুমুকে আড্ডা জমে ওঠে ক্যান্টিনেও। এ সময় তাদের গাইতে শোনা যায় ‘ওরে নীল দরিয়া অথবা এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’সহ দারুণসব গান।

কেমন লাগছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন? প্রশ্ন করতেই ঠোঁটের কোণে হাসি দিয়ে লামিয়া সুলতানা নামের এক ছাত্রী বলেন, স্কুলজীবনের পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছে। খু-উ-ব ভালো লাগছে। ক্যাম্পাসের পরিবেশটা চমৎকার।

নতুন বন্ধুদের সঙ্গে প্রথম দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে মোবাইলে সেলফি তুলছিলেন ফাহাদ ফেরদৌস। ভর্তি হয়েছেন বিবিএতে। তিনি বলেন, সবার দোয়া চাই। প্রথম দিনটি নিয়ে আগের দিন নির্ঘুম কেটেছে। অনেকগুলো পরিচিত মুখ পেয়েছি। তবে এখানে কড়াকড়িও আছে!’

সিআইইউ’র উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরীকে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপে মশগুল থাকতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবককে কাছে পেয়ে তাদের স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বেশি করে পাঠ্য বইয়ে ডুবে থাকার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, যুগোপযুগী সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যায় পাশে থাকবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়। -বিজ্ঞপ্তি।

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট